ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

তথ্য প্রযুক্তিসহ নতুন ৫ খাতে রপ্তানি সহায়তা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
তথ্য প্রযুক্তিসহ নতুন ৫ খাতে রপ্তানি সহায়তা

ঢাকা: দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার চলতি ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে কতিপয় পণ্য রপ্তানি খাতে রপ্তানি ভর্তুকি-নগদ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এতে নতুন করে তথ্য প্রযুক্তিসহ পাঁচ খাত অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। আগের ২২টি খাতের মধ্যে ৪টি খাতে নগদ সহায়তার হার বাড়ানো হয়েছে।

চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে রপ্তানির জন্য জাহাজিকৃত সব পণ্যের ওপর নতুন হারে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে।
 
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
 
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা সফটওয়্যার, তথ্য প্রযুক্তি সেবা ও হার্ডওয়্যার রপ্তানির বিপরীতে এখন থেকে ১০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে।
 
এছাড়া চলতি অর্থবছর থেকে সিনথেটিক ও ফেব্রিক্সের মিশ্রণে তৈরি পাদুকা রপ্তানির বিপরীতে ১৫ শতাংশ, অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রিডিয়েন্টস (এপিআই) রপ্তানিতে ২০ শতাংশ, অ্যাকুমুলেটের ব্যাটারি রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ এবং নারিকেলের ছোবড়ার আঁশ দিয়ে তৈরি পণ্য রপ্তানিতে ২০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে।
 
চলতি অর্থবছরে হোগলা, খড়, আখের ছোবড়া ইত্যাদি দিয়ে হাতে তৈরি পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তার হার ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। আলু রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা ১০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ২০ শতাংশ করা হয়েছে।
 
সাভারে চামড়া শিল্প নগরীতে স্থানান্তরিত শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদার রফতানির বিপরীতে ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া পাটজাত চূড়ান্ত পণ্য রপ্তানিতে সাড়ে ৭ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়া হবে।
 
অন্যান্য পণ্যের রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তার হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এবারও রপ্তানিমুখী দেশিয় বস্ত্রখাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা ৪ শতাংশ, বস্ত্রখাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা ৪ শতাংশ, নতুন পণ্য বা বাজার সম্প্রসারণ সহায়তা (আমেরিকা, কানাডা ও ইইউ ব্যতীত) ৩ শতাংশ, ইউরো অঞ্চলে বস্ত্রখাতে রপ্তানিকারকদের জন্য বিদ্যমান ৪ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তা ২ শতাংশ বহাল রাখা হয়েছে। আগের মতো এবারও দেশে উৎপাদিত কাগজ ও কাগজ জাতীয় দ্রব্য রপ্তানিতে ১০ শতাংশ এবং আগর ও আতর রপ্তানিতে ২০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে।
 
এছাড়া কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্যে ২০ শতাংশ, গরু মহিষের নাড়ি, ভুঁড়ি, শিং ও রগ (হাড় ব্যতীত) রপ্তানিতে ১০ শতাংশ, হালকা প্রকৌশল পণ্যে ১৫ শতাংশ, শতভাগ হালাল মাংস রপ্তানিতে ২০ শতাংশ, হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বরফ আচ্ছাদনের হারভেদে ২ থেকে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়া হবে।
 
চামড়াজাত দ্রব্যাদি রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ, জাহাজ রপ্তানিতে ১০ শতাংশ, পেট বোতল-ফ্লেক্স রপ্তানিতে ১০ শতাংশ, ফার্নিচার রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ,শস্য ও শাক-শবজির বীজ রপ্তানিতে ২০ শতাংশ, পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বন রপ্তানিতে ২০ শতাংশ, প্লাস্টিক দ্রব্য রপ্তানিতে ১০ শতাংশ এবং পাটজাত দ্রব্য রপ্তানিতে ৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ সহায়তা দেওয়া হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, আগস্ট: ১৭, ২০১৭
এসই/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।