ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃষি

যশোরে মাছ চাষে অবদান রাখায় ১৬ জনকে সম্মাননা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
যশোরে মাছ চাষে অবদান রাখায় ১৬ জনকে সম্মাননা যশোরে মাছ চাষে অবদান রাখায় ১৬ জনকে সম্মাননা/ছবি: বাংলানিউজ

যশোর: যশোরে মাছ চাষে বিশেষ অবদানের জন্য চার সমিতি ও ১৬ জনকে সম্মাননা জানানো হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে যশোর জিলা স্কুল অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী দিনে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

যশোর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ডক্টর শেখ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যশোরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বৃহত্তর যশোর জেলার মৎস্য চাষ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হরেন্দ্র নাথ সরকার ও যশোর বিএফআরআইয়ের স্বাদু পানি উপকেন্দ্রের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুজ্জোহা।

আলোচনায় অংশ নেন জেলা হ্যাচারি মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ফিরোজ খান, উপদেষ্টা সাইফুজ্জামান মজু, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান গোলদার ও জেলা মৎস্যচাষি কল্যাণ সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বাবলু। সঞ্চালনা করেন যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আহসান হাবিব পারভেজ।

সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- মাছের গুণগত মানের রেণু উৎপাদনের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোক্তা হিসেবে এ বছর জাতীয়ভাবে স্বর্ণপদকে ভূষিত হওয়ায় মধুমতি মৎস্য হ্যাচারির প্রোপাইটর একরামুল কবির ও জহুরুল ইকবাল, মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে ব্যক্তির সমগ্র কর্মজীবনের অবদান স্বরূপ এবছর জাতীয়ভাবে রৌপ্যপদকে ভূষিত হওয়ায় ইউনাইটেড এক্সো ফিশারিজের প্রোপাইটর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী, রেণু উৎপাদনে আধুনিক উদ্যোক্তা (পানি রিসাইক্লিং) হিসেবে মাতৃ ফিস হ্যাচারি অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড ফার্মের জাহিদুর রহমান গোলদার, তেলাপিয়া রেণু উৎপাদনের হার বৃদ্ধির কলাকৌশল উদ্ভাবনে যশোর সদর মৎস্যবীজ উৎপাদন খামারের ক্ষেত্র সহকারী এএনএম লুৎফুল হাসান, পোনা উৎপাদনের সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ সোনা মৎস্য প্রজেক্টের প্রোপাইটর আতিয়ার রহমান টুটুল, মোল্যা ফিস নার্সারির প্রোপাইটার মাকিবুর রহমান, মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানিকরণে এমইউসি ফুডের শ্যামল দাস, রেণু উৎপাদনের সফলতার স্বীকৃতি স্বরূপ ঈভা ফিস হ্যাচারির ইন্দ্রজিত বর্মণ, ন্যাশনাল ফিশ হ্যাচারির আমিরুল হক, আল্লার দান মৎস্য হ্যাচারির মশিয়ার রহমান, মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছ উৎপাদনে শাহ আলী মৎস্য খামারের নুরুল ইসলাম বাবু, কৈ, শিং মাছ উৎপাদনে তরফদার মৎস্য চাষ প্রকল্পের মফিজুর রহমান, শাওন মৎস্য চাষ প্রকল্পের রেজাউর রহমান শাওন, রুই জাতীয় মাছ উৎপাদনে চৌগাছার ওলিয়ার রহমান, পাঙ্গাশ মাছ উৎপাদনে ঝিকরগাছার মোশাররফ হোসেন, কার্প নার্সারি ও চাষি সংগঠক হিসেবে মেসার্স মালগুনী মৎস্য খামারের মিজানুর রহমান বাবুল, বাওড় ব্যবস্থাপনা ও মাছ উৎপাদনে বুকভরা বাওড়, অভয়নগরের পুড়াখালী বাওড়, মণিরামপুরের হরিহরনগর বাওড় এবং সমাজভিত্তিক মাছ চাষ ব্যবস্থাপনায় মণিরামপুর নেহালপুর লখাইডাঙ্গা ফসল ও মৎস্য চাষ সমবায় প্রকল্প।

প্রত্যেকেরই সম্মাননা স্মারক ও সনদ দেন অতিথিরা। ‘মাছ চাষে গড়বো দেশ; বদলে দেব বাংলাদেশ’ এমন প্রত্যয় নিয়ে ১৯ জুলাই সারা দেশের সঙ্গে যশোরেও শুরু হয় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
ইউজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।