ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

গ্রিন ডেল্টা-অর্থনীতি ইউনিটের স্বাস্থ্য সুরক্ষা চুক্তি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
গ্রিন ডেল্টা-অর্থনীতি ইউনিটের স্বাস্থ্য সুরক্ষা চুক্তি গ্রিন ডেল্টার সঙ্গে অর্থনীতি ইউনিটের স্বাস্থ্য সুরক্ষা’র চুক্তি

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের সঙ্গে গ্রিন ডেল্টা ইন্সুরেন্স লিমিটেডের ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি’ প্রকল্পের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য-অর্থনৈতিক ইউনিটের কার্যালয়ে প্রকল্পটির দ্বিতীয় ধাপের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।  

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক মো. আসাদুল ইসলাম এবং গ্রিনডেল্টার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা চৌধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।


 
এসময় গ্রিন ডেল্টার সাবেক এমডি ও বর্তমান উপদেষ্টা নাসির আহমেদ চৌধুরীসহ দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রথম দফায় ২০১৬ সালের ২৪ মার্চ প্রতিষ্ঠান দু’টির মধ্যে  স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছি। এরপর প্রকল্পটির উদ্বোধন হয়। এবার ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি’ প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপ এর জন্য আবারো গ্রিনডেল্টা ইন্সুরেন্স স্কিম অপারেটর হিসেবে নিযুক্ত হলো।
 
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, গরিব জনগোস্টিকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে সরকার এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সরকারকে এ সহযোগিতা করছে গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স। আশা করছি, ভবিষতেও প্রতিষ্ঠানটির সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
 
গ্রিন ডেল্টার এমডি ও সিইও ফারজানা চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি’ প্রকল্পে দ্বিতীয় ধাপে আবারো স্কিম অপারেটর হিসেবে নিযুক্ত করার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, প্রথম দফায় কালিহাতীতে কাজ করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখেছি। ৫০টি রোগ শনাক্ত করতে পেরেছি। এখানে ২৭ হাজার ৪৫০জন এই সেবায় রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এবার ‘ঘাটাইল ও মধুপুরে আরো ৬০ হাজার পরিবারকে রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবো। আশা করছি এ সেবা একদিন ১৬কোটি মানুষের কাছে ছড়িয়ে যাবে।
 
‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি’ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো-দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের জন্য বিনামূল্যে ক্ষুদ্র বিমা চালু করা। প্রাথমিকভাবে টাঙ্গাইল জেলার ৩টি উপজেলায় এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। উপজেলাগুলো হচ্ছে- কালিহাতী, ঘাটাইল ও মধুপুর। এই তিন জেলার ৩০ হাজার পরিবারের মধ্যে বিমা সুবিধা আওতায় এসেছে। তারা ১০০০ টাকার প্রিমিয়াম দিয়ে এ বছরে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি পরিবার স্বাস্থ্য সেবা পাবে। এই সেবা প্রদান করবে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালগুলো।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।