ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পাইলিংয়ে আগস্টে দৃশ্যমান হচ্ছে স্বপ্নের মেট্রোরেল!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৭
পাইলিংয়ে আগস্টে দৃশ্যমান হচ্ছে স্বপ্নের মেট্রোরেল! মেট্রোরেলের প্রতিকী ছবি

ঢাকা: ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন বা মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রথম ধাপে রাজধানীর মিরপুর-১০ থেকে শেরে বাংলানগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কের নিচের ১২টির বেশি ইউটিলিটি স্থানান্তর হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ইউটিলিটি স্থানান্তরের অংশে আগামী মাসে শুরু হবে টেস্ট পাইলিং কাজ।

এরপর থেকেই ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হতে থাকবে নগরবাসীর স্বপ্নের মেট্রোরেল।  

মেট্রোরেল প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘এখন প্রকল্পের দৃশ্যমান তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।

ইতোমধ্যেই উত্তরা ডিপো এলাকায় পূর্ত কাজ এবং উত্তরা (উত্তর) থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ভায়াডাক্ট ও নয়টি স্টেশন নির্মাণে ইতালিয়ান-থাই ডেভলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড ও সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের সঙ্গে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি।  এটি কম অর্জন নয়।  সবচেয়ে বড় খবর, আগস্টে শুরু হবে টেস্ট পাইলিং কাজ।  এটি মেট্রোরেল প্রকল্পের মূল কাজ’।  

চুক্তির আওতায় প্রকল্পের প্যাকেজ ২, ৩ ও ৪-এ স্থাপনা নির্মাণে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে।  এর মধ্যে প্যাকেজ-২ এর ডিপো এলাকার পূর্ত কাজের চুক্তিমূল্য প্রায় এক হাজার ৫৯৬ কোটি টাকা।  এ কাজের অগ্রগতিও ৪৫ শতাংশ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অ্যালাইনমেন্ট বরাবর বিদ্যমান ইউটিলিটি স্থানান্তর সম্পূর্ণ হয়েছে। ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো), পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি), তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (তিতাস), বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি (বিটিসিএল), ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যুয়ারেজ অথরিটি (ওয়াসা), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), গ্রামীণফোন, মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস (এমইএস), সামিট কমিউনিকেশনস্‌ লিমিটেড (এসসিএল), এফঅ্যান্ডএইচ এবং ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নানা ইউটিলিটি লাইন ও ফাইবার হোমস্‌ ইউটিলিটি স্থানান্তরের কাজ শেষে গর্ত ভরাট করে যান চলাচলের উপযোগীও করা হয়েছে।  

সর্বসাধারণের গণপরিবহনের সুবিধাদির আধুনিকায়নে ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে মেট্রোরেল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ঢাকা যানবাহন সমন্বয় বোর্ড।  মোট ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাক‍ার মধ্যে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে জাইকা ঋণ দিচ্ছে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।  

উত্তরা থেকে মিরপুর হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের মোট ১৬টি স্টেশন থাকবে।  ২৪টি ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় আপ ও ডাউন রুটে ৬০ হাজার যাত্রী আনা-নেওয়া করবে।

সবকিছু ঠিক থাকলে ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল।  এ লক্ষ্যে এ অংশে শুরু হচ্ছে পাইলিং কাজ।  বাকি ছয় বছরে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সম্পূর্ণ হবে প্রকল্পের কাজ।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।