ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

পুঁজিবাজারের সব সূচকের উন্নতি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৬ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০১৭
 পুঁজিবাজারের সব সূচকের উন্নতি

ঢাকা: মহাধসের অর্ধযুগ পর দেশের পুঁজিবাজারে এক সঙ্গে সব ধরনের সূচকের উন্নতি হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগে, বেঞ্চমার্ক, লেনদেন, বাজার মূলধন এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও তারল্য সংকট। ফলে সরকারও পুঁজিবাজার থেকে রাজস্ব আয় বেশি পেয়েছে।

ধারবাহিক উন্নতি’র আরো বৃদ্ধি পেয়েছে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাজেট কেন্দ্র করে। এই বছরের বাজেট জাতীয় সংসদে পাসের পর নতুন অর্থবছরের ৫ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে।

এর মধ্যে তিন কার্যদিবস পুঁজিবাজারে উত্থান হয়েছে। এতে বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও।

অন্যদিকে অন্যদিতে প্রাস্তাবিত বাজেট ঘোষণার দিন পহেলা জুন থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ কার্যদিবস সূচকের উত্থানের মধ্যেদিয়ে লেনদেন হয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছরে বাজারের গভীরতা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি বৃদ্ধি পেয়েছে বিনিয়োগকারীদের আস্থা। পুঁজিবাজারের এই গতিশীলতা ধরে রাখতে সর্বাগ্রে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ জরুরি।

তারা বলছেন, বিনিয়োগকারীরা আস্থা আর বিশ্বাস নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে আসে। কোন কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে শিল্পায়নের গতিযেমন বাধাগ্রস্ত হবে তেমনি বাধাগ্রস্ত হবে নতুন কর্মসংস্থানের পথ। পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ডিএসইর সর্বপ্রকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

লেনেদেনের উন্নতি

২০১৬-১৭ অর্থবছরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২৩৯ কার্যদিবসে লেনদেনে হয়েছে ১৮ হাজার ০৫২ কোটি ২২ লাখ টাকার। এর আগের অর্থবছর হয়েছিলো ১০ লাখ ৭২৪ কোটি ৬০ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। যা আগের বছরের চেয়ে ৬৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। দৈনিক গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৫৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। যা বিগত ৫ অর্থবছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন।

সূচকের উন্নতি
পুঁজিবাজারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হলো সূচক। তিন ধরনের সূচকে পথ চলা ডিএসইতে বিদায়ী বছরে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা বেঞ্চমার্ক সূচক আগের বছরের চেয়ে ১ হাজার ১৪৮ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৫ হাজার ৬৫৬ দশমিক ০৫ পয়েন্টে উন্নিত হয়েছে। পাশাপাশি ডিএসই ৩০ সূচক ৩১২ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ০৮৩ দশমকি ৮০ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১৮৫ দশমিক ৯১ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে১ হাজার ২৯৬ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে উন্নীত হয়।

বাজার মূলধনের উন্নতি
সূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় একই সময়ে ডিএসইতে বাজার মূলধনও আগের বছরের তুলনায় ৬১ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা ৩ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। যা ডিএসই ইতিহাসের আরো একটি মাইলফলক।

বিদেশি লেনদেনে উন্নতি
বিদায়ী অর্থবছর বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। এবছর বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মোট লেনদেনের হয়েছে ১০০০৯ দশমিক ৩৭ কোটি টাকা।

যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরের চেয়ে ১৯২৫ দশমিক ৪৫ কোটি টাকা। শুধু তাই নয় এই বছরের বিদেশিদের নিট বিনিয়োগ বেড়েছে ১৮১৬ দশমিক ৮২ কোটি টাকা। যা শতাংশের হিসাবে ৪০২.২৭ শতাংশ বেশি।

৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়
সব ধরনের সূচকের উন্নতির ফলে বিদায়ী বছরের ডিএসই থেকে গত ৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আয় হয়েছে।  এই অর্থবছরে ডিএসই থেকে ২৮২ দশমিক২৩ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।

পুঁজিবাজারে সার্বিক উন্নতির বিষয়ে ডিএসইর এমডি কেএএম মাজেদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, টেকসই পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী ডিএসই’র পণ্যের বৈচিত্র্যতা আনয়নে নতুন প্রোডাক্ট এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড শিগগিরই চালুর পাশাপাশি একটি উন্নতমানের বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাজারের পরিধিকে বিস্তৃত করার উদ্দেশে ডিএসই‘র পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই সরকারি ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৭
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।