ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

শুধু সংযোগ নয়, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৭
শুধু সংযোগ নয়, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: শুধু সংযোগ নয়, একই সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে হলে এর উৎপাদনও বাড়াতে হবে। সামনে গরম আসছে, এ সময় গ্রাহক চাহিদা বেশি থাকে।

বিষয়টি মাথায় রেখে বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার (২০ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ১৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।  

শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ) প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৭৭৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। প্রকল্প দু’টি অনুমোদন দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে আমাদের আর্থিক অবস্থা অনেক ভালো। এখন আমরা শুধু আলো নয়, ফ্যান ও এসি চালানোর জন্যও বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি। প্রধানমন্ত্রী সবার জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়াসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন।

‘জামালপুর শহরের গেটপাড় এলাকায় রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ’ প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২১১ কোটি টাকা।

ওভারপাস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেখানেই রেলক্রসিং সেখানেই ওভারপাস নির্মাণ করতে হবে। ফলে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি কমে আসবে।

৮৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে বন্দরসেরি বেগওয়ানে বাংলাদেশ চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স ও হাইকমিশনারের বাসভবন প্রকল্প’ অনুমোদন দেয়া হয়। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের যেখানেই বাংলাদেশী জনগণ আছে, সেখানেই চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে হবে। একটি হল রুমও নির্মাণ করতে হবে। যাতে করে প্রবাসী বাংলাদেশীরা এখানে এসে একটু বিশ্রাম নিতে পারে।

এছাড়াও দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি প্রকল্পটি ৪ হাজার ৯৯২ কোটি এবং বিপিএটিসির প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পটি ৮৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে অনুমোদন দেয়া হয়।

সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৮৬৯ কোটি ৮ লাখ টাকা। আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ককে চার লেন জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি ৩ হাজার ৫৬৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ও  বরিশাল-পটুয়াখালী মহসড়কে পায়রা নদীর উপর পায়রা সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি ১ হাজার ২৭৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে অনুমোদন দেয়া হয়।

চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণে ১০৫ কোটি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে একনেকে ৯৯ কোটি টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

কক্সবাজার জেলাধীন ক্ষতিগ্রস্ত পোল্ডারসমূহের পুনর্বাসন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৭
এমআইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।