ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

বাজেটে কর প্রস্তাবগুলো পুনর্বিবেচনার দাবি সিএসইর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৫ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৭
বাজেটে কর প্রস্তাবগুলো পুনর্বিবেচনার দাবি সিএসইর

ঢাকা: ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জগুলোকে (ডিএসই ও সিএসই) আগামী ৩ বছর শতভাগ করমুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করাসহ ৫ দফা দাবিগুলো পুনর্বিবেচনারও আহ্বান জানিয়েছে সিএসই কর্তৃপক্ষ। 

সোমবার (০৫ জুন) সিএসই’র ঢাকা কার্যালয়ে বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এসব দাবি জানানো হয়।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিএসই’র এমডি সাইফুর রহমান মজুমদার, পরিচালক মেজর (অব.) মো. ইমদাদুল ইসলাম, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার গোলাম ফারুক, মো. শহিদুল্লাহ প্রমুখ।


 
বাকি দাবিগুলো হচ্ছে- স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের কাছ থেকে উৎসে আয়কর ০ দশমিক ০১৫ টাকা পুননির্ধারণ, করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা এবং তালিকাভুক্ত-অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করহারের ব্যবধান ১৫ শতাংশ রাখা।

এছাড়াও সফটওয়্যার এবং প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠানের হিসেবে স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর ওপর উৎসে আয়কর এবং মূসক প্রত্যাহার করা। এর আগে একই প্রস্তাবনাগুলো গত ৯ এপ্রিল জাতীয় রাজস্ব র্বোডের (এনবিআর) কাছে তুলে ধরে সিএসই কর্তৃপক্ষ।

সংবাদ সম্মেলনে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা এবং আস্থা অর্জনে সুনির্দিষ্ট কোনো কৌশল নেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেন এমডি সাইফুর রহমান মজুমদার। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজার নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা কিংবা কোনো সমন্বিত উদ্যোগ নেই। এ ধরনের একটি কৌশল এবারের বাজেটে থাকা উচিত ছিল।

সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, আগামী ৩ বছরে আমাদের পুঁজিবাজারে কতো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে, আমাদের বাজারে গভীরতা কতো হবে, পুঁজিবাজার কোন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে, এমন কোনো সুস্পষ্ট কৌশল নির্ধারণ করা হয়নি।  

তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারে বিদেশি কোম্পানি তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বরং অনেক ক্ষেত্রে ছাড়ের ওপর আছে। আইনি সংস্কার করে বাজারে আনার ব্যবস্থা করা দরকার। তবে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা নেই।

‘আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে যেসব প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম তা কোনোভাবেই বিবেচনায় আনা হয়নি। ’

এখন পুঁজিবাজার কি স্থিতিশীল? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখনও বাজার নিশ্চিত স্থিতিশীল অবস্থানে আসেনি। এটা স্বাভাবিক ট্রেড, ভলিউম বাড়েনি। আরও নতুন প্রোডাক্ট বাজারে আনতে হবে। গুণগত মানসম্মত কোম্পানি তালিকাভুক্ত করতে হবে। এগুলোর জন্য একটি সমন্বিত উদ্যোগ কিংবা কৌশল নির্ধারণ করা দরকার। যা বাজেটে অনুপস্থিত।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাজেটে আবগারি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। অনেকে মনে করছেন এখন ব্যাংকের অলস অর্থ পুঁজিবাজারে আসবে। আমি মনে করি এর সঙ্গে পুঁজিবাজারের কোনো সম্পর্ক নেই। পুঁজিবাজার স্থিতিশীল হলে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা বাড়লে এমনিতেই নতুন ফান্ড বাজারে আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৭
এমএফআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।