ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভ্যাট নিয়ে মোবাইল অ্যাপস তৈরি হচ্ছে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৩ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
ভ্যাট নিয়ে মোবাইল অ্যাপস তৈরি হচ্ছে ভ্যাট নিয়ে মোবাইল অ্যাপস তৈরি হচ্ছে/ছবি: শামীম হোসেন

ঢাকা: সরকারের আইসিটি বিভাগের সহায়তায় ভ্যাট বিষয়ক একটি মোবাইল অ্যাপস তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। 

তিনি বলেন, এ অ্যাপসের মাধ্যমে ভ্যাট আইন নিয়ে কি হচ্ছে সারাদেশের মানুষ তা জানতে পারবেন। কোথায় কোথায় ভ্যাটের লেনদেন হচ্ছে, তা সরকারের কোষাগারে আসছে কিনা তারও তথ্য জানতে পারেন।

 

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, উদ্ভাবন নিয়ে এনবিআর এগিয়ে যাবে। একটি ইনোভেশন প্রতিযোগিতার আয়োজনের চিন্তা করছি। যদি স্বনামধন্য ব্যক্তি বা তরুণ আইসিটি উদ্যোক্তাদের কাছে কোনো উদ্ভাবন থাকে তা এনে বিচার বিশ্লেষণ করবো।

শনিবার (২০ মে) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের সম্মেলন কক্ষে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প আয়োজিত ‘মূল্য সংযোজন কর  ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২’ বাস্তবায়ন বিষয়ক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিভিন্ন প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়া বিজনেস এডিটররা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও সংবাদকর্মীরা আলোচনায় অংশ নেন।

এছাড়া নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন ও এর সাফল্যের ওপর ব্যবসায়ীদের ওপর এনবিআর আস্থা রাখছে বলেও জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

চেয়ারম্যান বলেন, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে আমাদের এখন হাই প্রোফাইল গ্রাউন্ডে অবস্থান করতে হবে। এ আইনের সুবিধাকে যাতে কেউ অপব্যবহার করতে না পারে সেজন্য আমরা ব্যবসায়ীদের ওপর আস্থা রাখছি। ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন ও এর সাফল্যের ওপর এনবিআর পুরোপুরি আস্থা রাখছে। এনবিআর ব্যবসায়ীদের পার্টনার ঘোষণা করেছে। তারা হচ্ছেন ভ্যাট স্মার্ট ও ভ্যাট ট্রাস্টি। তাদের মাধ্যমে আমরা সঠিকভাবে ভ্যাট পাবো সেই প্রত্যাশা করছি।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সারাদেশে যেসব প্রতিষ্ঠান ভ্যাট নিবন্ধন নেবেন আমরা সেসব প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করবো। এসব প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জনগণকে জানানো হবে। এতে জনগণ জানবে, প্রতিষ্ঠানগুলোও লাভবান হবে। যেসব সচেতন ব্যক্তি ভ্যাট দিতে চান তারা সেসব প্রতিষ্ঠানে গিয়ে লেনদেনের মাধ্যমে ভ্যাট দিতে পারবেন।

তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে নতুন আইনের সার্বিক বিষয় বুঝলে কেউ এ আইনের সুযোগের অপব্যবহার করতে পারবে না। জনগণকে নতুন আইনের বিষয়ে তথ্য দিলে জনগণ সচেতন হবে।

নজিবুর রহমান বলেন, নতুন আইনে ব্যবসায়ী ও জনগণকে সহায়তায় হেল্পডেস্ক করা হয়েছে। শুধু ভ্যাট বিভাগ নয় আয়কর বিভাগ, শুল্ক বিভাগে মাঠ পর্যায়সহ সব জায়গায় হেল্পডেস্ক হচ্ছে। সচেতনতা ও প্রচারের দিক খুবই প্রাধান্য পাচ্ছে।

এর আগে সকালে আলোচনা সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান বলেন, নতুন ভ্যাট আইন কোনভাবেই সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ভ্যাটের বাইরে রাখা হয়েছে। ফলে বাজারে এগুলোর দাম বাড়বে না। এটি স্বচ্ছ, আধুনিক, ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি যোগাযোগবিহীন, সার্বক্ষণিক, সময়োপযোগী, সর্বোপরি দেশি-বিদেশি ব্যবসা বান্ধব ও চাহিদার উপযোগী।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনবিআর সদস্য (শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন) ও ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল হাসান। নতুন ভ্যাট আইনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এনবিআর সদস্য (ভ্যাট নীতি) ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন। এছাড়া নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে উপস্থাপনা দেন ভ্যাট অনলাইন উপ পরিচালক মুহম্মদ জাকির হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।