ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

নতুন ভ্যাট আইনের বাইরে ভোগ্যপণ্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৩ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
নতুন ভ্যাট আইনের বাইরে ভোগ্যপণ্য উন্মুক্ত আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানসহ অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য নতুন ভ্যাট আইনের বাইরে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।

শনিবার (২০ মে) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক উন্মুক্ত আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে এ আলোচনার আয়োজন করে এনবিআর।

নজিবুর রহমান বলেন, নতুন ভ্যাট আইন জনসাধারণের জীবনযাত্রায় কোনো ধরনের নেতিবাচক চাপ ফেলবে না। কারণ এ আইনের বাইরে থাকছে ভোগ্যপণ্য। তাই বাজারে ভোগ্যপণ্যের কোনো দাম বাড়ারও আশঙ্কা নেই।  

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নতুন ভ্যাট আইন স্বচ্ছ, আধুনিক, ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি যোগাযোগবিহীন, সার্বক্ষণিক, সময়োপযোগী, সর্বোপরি দেশি-বিদেশি ব্যবসাবান্ধব ও চাহিদার উপযোগী। আর বিভিন্ন আঙ্গিকে নতুন ভ্যাট আইন পুরোনো আইনের চেয়ে উৎকৃষ্ট।

এ ভ্যাট আইন আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার ভিত্তিতে প্রণীত দাবি করে নজিবুর রহমান বলেন, এ আইন বাস্তবায়ন হলে দেশীয় শিল্পের ন্যায্য সুরক্ষা, রপ্তানিমুখী খাতে সুবিধা, আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যবস্থা থাকবে।  

তিনি জানান, সাধারণ জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন বিষয়ে (মৌলিক চাহিদা, খাদ্য ও কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান ইত্যাদি) ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া আছে। শিগগির কয়েক পৃষ্ঠার দীর্ঘ তালিকা প্রকাশ করা হবে। পুরনো আইনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য কোনো অব্যাহতি ছিল না। নতুন আইনে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত টার্নওভার হলে ভ্যাট দিতে হবে না। এছাড়া ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত টার্নওভার হলে মাত্র ৩ শতাংশ টার্নওভার কর দিতে হবে।

নতুন ভ্যাট আইনে ব্যবসায়ীদের সুবিধা রয়েছে জানিয়ে নজিবুর রহমান আরও বলেন, ভ্যাট কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়াই ব্যবসায়ীরা নিজেদের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করতে পারবেন। বহুব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য মাত্র একটি নিবন্ধন নেওয়ার সুবিধা থাকছে। নতুন আইনে ভ্যাট কর্মকর্তাদের দায়বদ্ধতা বাড়ানো হয়েছে এবং অহেতুক শিল্প কারখানা পরিদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।  

নতুন আইনটি পুরোপুরি ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাস্তবায়িত হবে জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এর ফলে ব্যবসায়ীরা নিবন্ধনকরণ, রিটার্ন প্রদান, রিফান্ড ইত্যাদি সহজে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করতে পারবেন। এতে ব্যবসার ও উৎপাদনের খরচ কমবে এবং জনসাধারণ উপকৃত হবেন। নতুন আইনে প্রচলিত আইনের মতোই ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আদায় হবে। এটা নতুনভাবে আরোপিত হচ্ছে না। বরং সব পণ্য ও সেবার মূল্য নির্ধারণে ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত করে হিসাব নির্ধারণের পদ্ধতি অনূসৃত হওয়ায় পণ্য ও সেবার মূল্য কমবে।

আলোচনাসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন) মো. রেজাউল হাসান, সদস্য (ভ্যাটনীতি) ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, সদস্য ( কর প্রশাসন) আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৭
এসজে/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।