ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রকাশ্য রূপ নিলো ইসলামী ব্যাংক পরিচালকদের দ্বন্দ্ব

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
প্রকাশ্য রূপ নিলো ইসলামী ব্যাংক পরিচালকদের দ্বন্দ্ব পুরনো এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন আরাস্তু খান। তার ডান প‍াশে আহসানুল আলম

ঢাকা: এবার প্রকাশ্য রূপ নিলো ইসলামী ব্যাংকের পরিচালকদের দ্বন্দ্ব। এক পরিচালকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) মতিঝিলে ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আরাস্তু খান।

পরিচালনা পর্ষদের ২০ জনের মধ্যে মাত্র ৪ জনকে পাশে নিয়ে আরাস্তু খান বললেন,  পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান আহসানুল আলম ব্যাংক সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন। গত ১৩ মে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভার বরাত দিয়ে ব্যাংকের জাকাত ফান্ড, শিক্ষাবৃত্তি, ইফতারের অর্থ ব্যয়, শীর্ষ নির্বাহীদের বদলি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য গণমাধ্যমে দেওয়া হয়েছে।

সেসব তথ্য আহসানুল ইসলামই দিয়েছেন।

তিনি বলেন, যেসব সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে সেগলো বিভ্রান্তিকর। এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকের জাকাত ফান্ডের ৪শ’ ৫০ কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রীর জাকাত ফান্ডে দেওয়া হবে। এমন কোন সিদ্ধান্ত বোর্ড সভায় গৃহীত হয়নি। এছাড়া ব্যাংকের ১৯ কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তিপ্রাপ্ত সুবিধাভোগীদের বিষয়ে খতিয়ে দেখা এবং সিএসআর সুবিধাভোগীদের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আসন্ন রমজানে সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্যাংকের ১৩ কোটি টাকার ইফতার বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে মর্মে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তাও সঠিক নয়। তাছাড়া ব্যাংকের জনসংযোগ, মার্কেটিং ও সিএসআর বিভাগের প্রধানদের বদলি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা কমানোর আলোচনাই হয়নি বোর্ড সভায়।

আরাস্তু খান বলেন, আহসানুল ইসলাম বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বলে বেড়াচ্ছেন ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে একটি বিশেষ গোষ্ঠী ঢোকানো জন্য আইডিবির শেয়ার বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া জাকাত ফান্ডের সাড়ে চারশ’ কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ব্যাংকের পরিচালনা থেকে সরে যেতে আমাকে একটি মহল হুমকি দিচ্ছে- এসব অসত্য বক্তব্য।

এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই। আমাদের কেউ হুমকি দেয়নি। আর তার বিষয়ে আমরা এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেইনি। পরিচালকরা কিছু শর্ত মেনে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু এই দায়িত্ব ভুলে গিয়ে তিনি বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন যা কোন ভাবেই কাম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, ওই পরিচালকের সততা সম্পর্কে আমাদের কোন প্রশ্ন নাই। কিন্তু ব্যাংক ও পরিচালকদের নিয়ে তিনি যা প্রকাশ্যে বলেছেন তা সঠিক কাজ নয়।

চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমাদের কয়েকজন পরিচালক দেশের বাইরে রয়েছেন সেজন্য সংবাদ সম্মেলনে আসতে পারেননি। এমন কি আহসানুল আলমও ভারতে সফরে রয়েছেন বলে তিনি ব্যাংককে জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন- পর্ষদ সদস্য জয়নাল আবেদিন, মিজানুর রহমান, অধ্যাপক সিরাজুল করিম, অধ্যাপক নাজমুল হাসান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হামিদ মিঞাসহ ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৮
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।