ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

২০ মিশনে হতাশ ইপিবি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৯ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
২০ মিশনে হতাশ ইপিবি

ঢাকা: দেশের রফতানি আয় বাড়াতে সরকারের ৫৬টি মিশন কাজ করছে বিভিন্ন দেশে। কিন্তু এর মধ্যে ২০টি মিশনের অর্জন দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে।

বিদেশি এসব মিশনের পেছনে প্রতি বছর সরকারকে মোটা অঙ্কের টাকা ব্যয় করতে হলেও ওই ২০টি মিশন থেকে আশানূরূপ ফল না পেয়ে হতাশ বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ।

ইপিবি’র এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, অন্য মিশনগুলো যখন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যস্ত, তখন গা-ছাড়া দিয়ে বসে আছেন ওই ২০টি মিশনের কর্মকর্তারা।

লক্ষ্যমাত্রা অর্জন তো দূরের কথা, আগের বছরের রফতানিই ধরে রাখতে পারছে না। এ ২০টি মিশনের কার্যক্রমে তাই হতাশ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ব্যর্থ মিশনগুলোর মধ্যে রয়েছে- লন্ডন, টোকিও, ব্রাসেলস, তেহরান, ক্যানবেরা, ইয়াঙ্গুন, দুবাই, ওয়াশিংটন, থিম্পু, কায়রো, হংকং, নাইরোবি, ত্রিপোলি, মেক্সিকো সিটি, কুয়েত ও সিউল।

ইপিবি সূত্র জানায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে ৫৬টি মিশনের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩৭ হাজার মিলিয়ন ডলার। কিন্তু আয় হয়েছে ২৪ হাজার ৯৫৫ মিলিয়ন ডলার।

আশঙ্কাজনক তথ্য হলো, ৫৬টি মিশনের মধ্যে মাত্র ২৩টি তাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পেরেছে। বাকি ৩৩টি মিশনই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি। ৩৩টির মধ্যে ২০টির অর্জনও আগের বছরের তুলনায় কমেছে।

ইপিবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শুভাশীষ বসুর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।

ইপিবি’র মিশনগুলো লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল হলে তা রফতানিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ইপিবি’র বিদেশের মিশনগুলো কাজই করে রফতানির উন্নয়নে। তাই কর্তৃপক্ষের মিশনগুলোতে উপযুক্ত লোককে নিয়োগ দেওয়া উচিত। এমন কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া উচিত, যারা পণ্য সম্পর্কে বুঝবেন, রফতানির ট্রেন্ড সম্পর্কে জ্ঞান রাখবেন। এসব নজরে রেখে নিয়োগ দিলে এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থদের জবাবদিহিতার আওতায় রাখলে রফতানি খাতের উন্নয়ন হবে। বাড়বে আয়, উন্নয়ন হবে দেশের।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৯ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
ইউএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।