ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

বাজেট

বেড়েই চলেছে বাজেটের আকার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৩ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
বেড়েই চলেছে বাজেটের আকার

ঢাকা: প্রতি বছরই বাড়ছে বাজেটের আকার। আবার উচ্চাভিলাসী বাজেট দেওয়ায় বছর শেষে প্রতি অর্থবছরই কাঁটছাট করতে হচ্ছে বড় একটি অংশ। সবশেষ বিগত কয়েক বছরের বাজেটের চিত্র এমনই।

২০০৯-১০ অর্থ বছরে বাজেট ছিলো ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা। ২০১০-১১ অর্থ বছরে ১৮ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়।

অর্থবছর শেষে বাজেট বাস্তবায়ন হয় ৯৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। ওই অর্থবছরের বাজেটে প্রকৃত ব্যয় হয় ১ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা।
 
২০১১-১২ অর্থবছরে আরো ৩১ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা বৃদ্ধি করে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। যার মধ্যে ব্যয় হয় ১ লাখ ৫২ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০১১-১২ অর্থবছরে বাজেটের ৯৩ দশমিক ১৮ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়।
 
২০১২-১৩ অর্থবছরে ১ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। তাতে আগের অর্থবছরের চেয়ে ২৫ হাজার ৪১১ কোটি টাকার বাজেট বাড়ানো হয়। এর মধ্যে ব্যয় হয় ১ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা। আর অর্থবছরে মূল বাজেটের ৯০ দশমিক ৭৬ শতাংশ বাজেট বাস্তবায়ন হয়।
 
২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলার ইতিহাসে প্রথম ২ লাখ কোটি টাকার বেশি বাজেট ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ সরকার। সেবার আগের অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ২৭ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। ওই বাজেটের মধ্যে ১ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। সে হিসাবে অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়ন হয় বাজেটের ৮৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
 
২০১৪-১৫ অর্থবছরে আরো ২৩ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে অর্থবছরটিতে ২ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে বাজেটের ৮১ দশমিক ৫৯ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়। আর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেট ধরা হয় ২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা। যেখানে বাড়ানো হয় ২৫ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা। তবে শেষ পর্যন্ত অর্থ বছরটিতে ব্যয় হয় ২ লাখ ৩১ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা।
 
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। যেখানে সংশোধিত বাজেট ধরা হয়েছে ৩ লাখ ১৭ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা কমেছে ২৩ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা।
 
২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এবার রেকর্ড বাজেট ঘাটতি রেখে বাজেট ঘোষণা করা হচ্ছে। এবার বাজেটের আকার হচ্ছে ৪ লাখ কোটি টাকারও বেশি। যেখানে এডিপি বা উন্নয়ন ব্যয় ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। যা ৭ বছর আগের মূল বাজেটকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আর এই টাকা যোগাড় করতে বরাবরের মতো এবারও চাপ বাড়ছে এনবিআর’র উপর।
 
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বাজেটের পূর্ণ বাস্তবায়ন এ দেশের বুকে কঠিন। বাজেট কেন এতো সংশোধন করতে হবে। বাস্তবায়নের সক্ষমতার বাইরে গিয়ে বড় ধরনের বাজেট দিলে বাজেটের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়। এজন্য উচ্চাভিলাসী বাজেট না দেওয়াই ভালো। যে বাজেট সংশোধন ছাড়াই বাস্তবায়ন সম্ভব তেমন বাজেট দেওয়াই উত্তম।
 
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রথম বাজেট ঘোষণা করা হয় ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে। তখন মূল বাজেটের আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
এসজে/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।