ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

২ সহস্রাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান করেছে ৪ সংস্থা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
২ সহস্রাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান করেছে ৪ সংস্থা

ঢাকা: চার বেসরকারি সংস্থা মিলে রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে আহত দুই সহস্রাধিক শ্রমিকের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে ১১৩৮ জন পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়, আহত হন বহু।

ভয়াবহ সেই বিপর্যয়ের চার বছর পর আহত শ্রমিকদের নিয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে। যাতে দেখা যায়, ব্র্যাক, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, সিআরপি, অ্যাকশন এইড’র প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তায় ২ হাজার ৫শ ১৬ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে, ব্র্যাকের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ৪শ ৫০ জনকে। বীজ ও মূলধন অনুদান দেওয়া হয় ৪শ ৫০ জনের।
 
রানা প্লাজায় কর্মরত শ্রমিকদের পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। প্রকল্পের আওতায় ৯৮৯ জনকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসনকেন্দ্রের (সিআরপি) ১১টি সংকটপূর্ণ পরিবারকে সহায়তা করেছে। যাদের আয় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে তাদের তিনজনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পছন্দ মতো প্রতিষ্ঠানে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে ১৭ জনকে।
 
যারা উদ্যোক্তা হতে চেয়েছেন তাদের পুঁজি দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। এমন পরিবারের সংখ্যা ৫টি। যারা পারিবারিক জীবনে ফিরে কর্মসংস্থান করতে চেয়েছেন এদের সংখ্যা ৯৩ জন।
 
অ্যাকশন এইড আর্থ সামাজিক অবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও পুনর্বাসন করেছে ৩শ ৫ জনের। ব্যবসা উন্নয়ন কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে ৩০ জনকে। ক্ষুদ্র ব্যবসা ও অনুদান সহায়তায় ৭৬ জন। ক্যারিয়ার বিষয়ক পরামর্শ নিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ২০ জনের।
 
২০১৬ সালের ১ আগস্ট পর্যন্ত অ্যার্কড’র পরিদর্শনের পর ২৬টি, অ্যালায়েন্সের পরিদর্শনের পর ১০টি ও এনআইর পরিদর্শনের পর ৩টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। এতে বেকার হয়েছেন ১৭ হাজার ৬শ ৮১ জন শ্রমিক।
 
একই সময়ে অ্যার্কডের পরিদর্শনের আংশিক বন্ধ হয়েছে ১৯টি, অ্যালায়েন্সের পরিদর্শনে ১২টি ও এনআইর পরিদর্শনে ২১টি কারখানা। এতে বেকার হয়েছে ৪ হাজার ২শ ১১ জন শ্রমিক।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এখনও আহতদের চিকিৎসার জন্য আয়ের বড় অংশ ব্যয় করতে হচ্ছে। আহতদের অনেকেই এখনও কাজে ফিরতে পারেননি।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
এসই/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।