ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

চূড়ান্ত অনুমোদন পাচ্ছে ৫৬০ মডেল মসজিদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
চূড়ান্ত অনুমোদন পাচ্ছে ৫৬০ মডেল মসজিদ ৫৬০টি মডেল মসজিদের নকশা

ঢাকা: চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে যাচ্ছে সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প। দেশের সব জেলা, সিটি কর্পোরেশন ও উপজেলায় এসব মসজিদ নির্মাণ করা হবে।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটির সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে।

একনেক সভায় মোট ১৩টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প’ এক নম্বরে রাখা হয়েছে। এসব মসজিদ নির্মাণে মোট প্রস্তাবিত ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ৯ হাজার ৬২ কোটি ৪১ লাখ টাকা  টাকা। এর মধ্যে ৮ হাজার ১৬৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের  অনুদান।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক (পরিকল্পনা)  লুৎফর রহমান সরকার বাংলানিউজকে বলেন, ‘মঙ্গলবার প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি আইকন প্রকল্প হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করবে’।

‘আশা করছি, প্রকল্পটির অনুমোদন দেবেন প্রধানমন্ত্রী। মডেল মসজিদের অনেক নকশাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে হয়েছে। প্রথমে মডেল মসজিদগুলোর অফিসকক্ষ মসজিদের সামনের ভাগে রাখা হয়েছিল। সৌন্দর্য বৃদ্ধির কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী মসজিদের পেছনে তা রাখার নির্দেশনা দেন। সে অনুসারে মসজিদের নকশা হয়েছে’।
 
ইসলামিক ফাউন্ডেশনে সূত্র জানায়, এসব মসজিদে প্রতিদিন চার লাখ ৪০ হাজার ৪৪০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারীর নামাজের ব্যবস্থা থাকবে।
 
লাইব্রেরি সুবিধাও থাকবে মডেল মসজিদগুলোতে। প্রতিদিন ৩৪ হাজার পাঠক একসঙ্গে কোরআন ও ইসলামিক বই পড়তে পারবেন। ইসলামিক বিষয়ে গবেষণার সুযোগ থাকবে ৬ হাজার ৮০০ জনের। ৫৬ হাজার মুসল্লি সব সময় দোয়া, মোনাজাত করাসহ তসবিহ পড়তে পারবেন।

মসজিদগুলো থেকে প্রতি বছর ১৪ হাজার হাফেজ তৈরি করা হবে। আরো থাকবে ইসলামিক নানা বিষয়সহ প্রতি বছর ১ লাখ ৬৮ হাজার শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা। ২ হাজার ২৪০ জন দেশি-বিদেশি অতিথির আবাসন ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে প্রকল্পের আওতায়। পবিত্র হজ পালনে করা হবে ৫০ শতাংশ ডিজিটাল নিবন্ধনের ব্যবস্থাও।

এসব মসজিদে আরো থাকবে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মৃতকে গোসল করানোর কক্ষ।

তিন ক্যাটাগরিতে মসজিদগুলো নির্মিত হবে। এ ক্যাটাগরিতে ৬৮টি চারতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদে থাকবে লিফট-এসি। এগুলো নির্মিত হবে ৬৪টি জেলা শহর ও চারটি সিটি কর্পোরেশন এলাকায়। দুই লাখ ৮১ হাজার ৫৮৪ বর্গমিটার আয়তনের  প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় ১৭ কোটি ৫২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।

এক লাখ ৬৪ হাজার ৭৪২ বর্গমিটার আয়তনের বি ক্যাটাগরির মসজিদ হবে ৪৭৬টি। লিফট-এসি ছাড়া এ মসজিদগুলোর প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় ১৩ কোটি ৮৯ লাখ ১৩ হাজার টাকা।   এর মধ্যে ৩৫০টি হচ্ছে উপজেলা পর্যায়ে।

৬১ হাজার ২৫ বর্গমিটার আয়তনের সি ক্যাটাগরির মসজিদ হবে ১৬টি। উপকূলীয় এলাকায় চারতলা বিশিষ্ট এসব মসজিদ নির্মিত হবে, যার প্রতিটির ব্যয় ১৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও বন্যায় এসব মসজিদের কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ, প্রথমতলা ডুবে গেলেও যেন সমস্যা না হয়, সেভাবে ওই ১৬টি মডেল মসজিদের অবকাঠামো গড়ে উঠবে। এসব মডেল মসজিদেও লিফট-এসি থাকবে না।


বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।