ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ফারইস্ট ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
ফারইস্ট ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি

ঢাকা: গ্রাহকদের বিমা দাবির অর্থ পরিশোধ না করায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেছেন আদালত।

গত ১৪ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি পরও আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় রোববার (২৩ এপ্রিল) রাজবাড়ীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ মামুন এই নির্দেশনা জারি করেন।

একই সঙ্গে নজরুল ইসলামের সম্পদ ক্রোকের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী।

তিনি বলেন, আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালতের দৃষ্টিতে তিনি পলাতক। এ বিবেচনায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৮৭ ও ৮৮ ধারা মতে নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারির আদেশ দেন ১ নং আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ মামুন। আদেশে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ প্রয়োজন হলে তার মালামাল ক্রোক করতে পারবে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামসুজ্জামান। ১৮ এপ্রিল ডাকযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠানো হয় ঢাকার পল্টন থানায়। তবে পল্টন থানা জানায়, গ্রেফতারি পরোয়ানা তারা পায়নি।

সূত্র মতে, বিমা দাবি বাবদ ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা পাওনা পরিশোধ না করায় ফারইস্টের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম ও ব্রাঞ্চ কো-অর্ডিনেটর মো. মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪১৮/৪২০ ধারায় মামলা করেন রাজবাড়ী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের মো. রফিকুল ইসলাম বাবু। মামলা নং-সি/আর ১৭৩/১৭।

বাদীর দাখিল করা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিচার বিশ্লেষণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন আদালত।

মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম জানান, তার স্ত্রী স্বপ্না পারভীন ২০১৫ সালের ২৮ জুন ফারইস্ট ইসলামী লাইফে ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকার একটি পলিসি করেন। পলিসি নং ১২৬০০০০২০১-৩। এর ৭ মাস পরে ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি স্বপ্না পারভীন মারা যান। মারা যাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুদাবির টাকা আদায়ে ফারইস্টের ফরিদপুর সার্ভিসিং সেলে আবেদন করা হয়। এর ৫ মাস পর গত বছরের ১৯ জুলাই ফারইস্ট ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করে। অথচ পলিসির শর্ত অনুসারে ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা।

পরবর্তীতে বাকি টাকা আদায়ে কোম্পানিতে যোগাযোগ করেন রফিকুল। এ সময় এত বড় অংকের টাকা একবারে দিতে পারবে না বলে জানান ফরিদপুর সার্ভিসিং সেলের কর্মকর্তারা। কিন্তু এর কিছু দিন পরেই আবার কর্মকর্তারা জানান তিনি আর কোনো টাকা পাবেন না। এরপর দাবির টাকা আদায়ে ২ বার উকিল নোটিশ পাঠান রফিকুল।

তারপরও কোম্পানি থেকে টাকা পরিশোধ না করায় গত ১৪ মার্চ (মঙ্গলবার) রাজবাড়ীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই দিন সংশ্লিষ্ট নথিপত্র যাচাই শেষে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামসুজ্জামান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
এমএফআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।