ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বর্ডার হাট পরিচালনায় গাইড লাইন করছে সরকার

রহমান মাসুদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৭
বর্ডার হাট পরিচালনায় গাইড লাইন করছে সরকার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বর্ডার হাট। ছবি- বাংলানিউজ ফাইল ফটো

ঢাকা: চার হাজার ৯৬ কিলোমিটারের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের সকল দুর্গম ও পিছিয়ে পড়া এলাকায় পর্যায়ক্রমে বর্ডার হাট স্থাপন হবে। এতে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসের পাশাপাশি সীমান্তের দুই পাড়ের ব্যবসায়ীদের সম্পর্ক জোরদার হবে। ফলে কমবে কালোবাজারি ও বাণিজ্য ঘাটতি। এ লক্ষ্যে হাট পরিচালনার জন্য গাইড লাইন তৈরি করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ২০১০ সালে কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে পাইলট প্রকল্পের মধ্য দিয়ে বর্ডারহাটের কার্যক্রম শুরু হলেও নানা কারণে তা তেমন সফল হয়নি। তবে জনগণের কিন্তু আগ্রহের কমতি নেই।

বেশি অসহযোগিতার অভিযোগ এসেছে বিজিবি, বিএসএফ ও হাট ম্যানেজমেন্ট কমিটির বিরুদ্ধে। আইন না বোঝা বা বুঝতে না চাওয়ার কারণেই এ জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
 
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বর্ডার হাট নিয়ে হাট কমিটির মধ্যেই জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী একজন ব্যবসায়ী তার দেশের স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সব পণ্যই হাটে বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু হাট কমিটি যার সুপারির লাইসেন্স আছে, তাকে সুপারি ছাড়া অন্য কিছু বিক্রি করতে দেয় না। আবার বিজিবি বা বিএসএফও অনেক সময় ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের হয়রানি করে থাকে। যেমন হাট থেকে ৫ জন ক্রেতা পণ্য কিনে একটি ভ্যানে করে আসছেন, কিন্তু বিজিবি তা একজনের পণ্য হিসেবে গণ্য করে বাজেয়াপ্ত করে। এতে ক্রেতা ও বিক্রেতারা ক্ষতি ও হয়রানির শিকার হন।
 
তিনি বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় হাট কমিটি, ক্রেতা-বিক্রেতা, পুলিশ ও বিজিবিকে নিয়ে কর্মশালার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হাট পরিচালনার জন্য একটি গাইড লাইনও তৈরি করছে। ভারতের পক্ষ থেকেও এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে।
 
এদিকে স্বরাষ্ট্র সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, বর্ডার হাট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি আছে। কমিটি হাট পরিচালনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে থাকে। বিজিবি পাহারার কাজ করে। পুলিশও প্রয়োজনে সহায়তা দেয়। তবে কারো অসহযোগিতার কিছু থাকলে তা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
 
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্ডার হাটের বিষয়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী খুবই পজেটিভ। আমরা বিষয়টিকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো ও তৃণমূল পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের ভিত্তি মজবুত করার উপায় হিসেবে দেখছি।
 
বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে চারটি বর্ডার হাট আছে। এর  সঙ্গে  যুক্ত  হচ্ছে  আরো  ছয়টি বর্ডার  হাট।   তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে আরো হাট স্থাপনের বিষয়েও দুই দেশ মৌখিকভাবে সম্মত হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
আরএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।