ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

কৃষি

লেট ব্লাইট রোগে টমেটো চাষীদের স্বপ্ন বিলীন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৭
লেট ব্লাইট রোগে টমেটো চাষীদের স্বপ্ন বিলীন লেট ব্লাইট রোগে টমেটো চাষীদের স্বপ্ন বিলীন

দিনাজপুর: ক’দিন আগেই তরতাজা গাছ আর গাছের ঝুলন্ত টাটকা টমেটো দেখে প্রাণ জুডিয়েছিল চাষিদের।মনে হয়েছিল, এবারের ভাল ফলন গত ক’বছরের লোকসান পুষিয়ে দেবে। কিন্তু গত ক’দিনের বৈরী আবহাওয়া ও টানা বর্ষণের ফলে লেট ব্লাইট রোগে আক্রান্ত হয়েছে টমেটো খেত।

লেট ব্লাইট নামের এই রোগটি আলু ও টমেটোর মড়ক হিসেবে পরিচিত। ফাইটোফথোরা ইনফেসটেনস নামের একপ্রকার ছত্রাকের কারণে সৃষ্ট এ রোগে গাছের লতা-পাতার সাথে রাতারাতি পুড়ে যাচ্ছে টমেটো ফসল।

টমেটো ক্ষেত পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি পুড়ে গেল চাষীদের সকল স্বপ্ন-আশা। অধিকাংশ চাষি ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেছেন। তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন চিন্তিত, উদ্বিগ্ন।

কান্নামেশানো কণ্ঠে নিজেদের স্বপ্ন বিলীন হওয়ার কথাই জানালেন দিনাজপুর সদর উপজেলার কমলপুর ইউনিয়নের আটোর গ্রামের তরুণ টমেটো চাষি সুমন পারভেজ।

বাংলানিউজকে তিনি বললেন, অনেক আশা বুকে নিয়ে এবার টমেটো চাষ করেছিলাম। বৈরী আবহাওয়ায় টানা বর্ষণে লেট ব্লাইট(স্থানীয়ভাবে ‘নাভিধসা রোগ’ নামে পরিচিত) রোগে আক্রান্ত টমেটো গাছে বিভিন্ন প্রকার বালাইনাশক প্রয়োগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। সারাদিন পরিচর্যা করেও গাছকে সুস্থ সবল রাখার কোনো চেষ্টাই কাজে লাগছে না। কীভাবে শোধ করব মহাজনের ঋণের টাকা!

লেট ব্লাইট রোগে টমেটো চাষীদের স্বপ্ন বিলীন

টমেটো চাষিরা এই দুর্দিনে কৃষি বিভাগের কোনো ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছেন না। এমন অভিযোগই করলেন একই এলাকার টমেটো চাষি মমিনুল ইসলাম।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমাদের এই চরম দুর্দিনে কৃষি বিভাগের কোনো প্রকার সহযোগিতা পাচ্ছি না। স্থানীয় দোকানিদের পরামর্শ ও নিজেদের পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করছি আমরা। এহেন পরিস্থিতিতে কৃষি বিভাগের কেউ আমাদের কোনো ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়াননি।

এব্যাপারে দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা চাষিদের অভিযোগ উড়িয়ে দেন। কৃষি বিভাগের গাফিলতি নেই বলে দাবি করে তিনি বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে টমেটো গাছে লেট ব্লাইট (নাভিধসা রোগ) দেখা দিয়েছে। এই রোগটি টমেটো গাছের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই রোগটি রাতারাতি এক গাছ থেকে অন্য গাছে ছড়ায়। তাই দ্রুত রোগাক্রান্ত গাছ দেখলে উপরে ফেলতে হবে ও ছত্রাকনাশক ব্যবহার করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫,২০১৭
জেএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।