ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ব্যাংকিং

১০ লাখ টাকা জামানবিহীন ঋণ দেয় এসবিএসি ব্যাংক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৭
 ১০ লাখ টাকা জামানবিহীন ঋণ দেয় এসবিএসি ব্যাংক এসবিএসি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ছবি: শাকিল

ঢাকা: সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস.এম. আমজাদ হোসেন বলেছেন, যেখানে মানুষের সম্ভাবনা আছে কিন্তু পুঁজি নাই আমরা সেখানে কাজ করি। এনজিওর অত্যাচারে জর্জরিত ছোট ছোট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের বিনা জামানতে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেই। মহাজনী অত্যাচার যেখানে আমাদের কাজ সেখানে।

সোমবার (৩ এপ্রিল) ব্যাংকটির পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় তিনি এ কথা বলেন। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই সভা আয়োজন করা হয়।


 
২০১৩ সালের ৩ এপ্রিল গ্রামীণ অর্থনীতি ও বাণিজ্যে সমন্বিত বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করে সাউথবাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড।
 
আমজাদ হোসেন বলেন, প্রতিবছর দেশে ২০ লাখ শিক্ষিত তরুণ-তরুণী কর্ম বাজারে প্রবেশ করছে। তারা কেউ উদ্যোক্তা হতে চাইলে আমাদের কর্মী বাহিনী দিয়ে প্রশিক্ষণ ও পরবর্তীতে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে তারা ছোট ও মাঝারি আকারের ঋণ নিয়ে একটি করে প্রতিষ্ঠান করে ৫ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে।
 
তিনি বলেন, আমাদের অধিকাংশ ব্যবসা গ্রাম ও কৃষি নির্ভর ছোট ছোট উদ্যোক্তাদের নিয়ে। আমরা কখনো তেলে মাথায় তেল দেই না। যাদের অনেক টাকা আছে তাদের আরও দিতে হবে আমরা এই প্রক্রিয়ার বিরোধী। কারণ ১শ’, ২শ’ ও ৫শ’ কোটি টাকা দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নাই। শহরে একজনকে একশ’ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার চেয়ে গ্রামের ১শ’ জনকে দিলে ৫শ’ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এসবিএসি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।  ছবি: শাকিল
 
আমজাদ হোসেন বলেন, যাত্রা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছি। এরমধ্যে নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। মোট ঋণের ৫ শতাংশ কৃষিখাতে। কৃষিখাতে ভূমিকার জন্য পর পর তিন বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাপ্রিসিয়েশন লেটার পেয়েছি।
 
তিনি বলেন, আমাদের ব্যাংকে জনগণের আমানত ৩ হাজার ৮ কোটি টাকা।
 
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমজাদ হোসেন বলেন, যাত্রা শুরুর তিন বছরের মধ্যে শেয়ার বাজারে যাওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক আরও তিন বছর পর যেতে পরামর্শ দিয়েছে নতুন ব্যাংকগুলোকে। আমাদের ৫৪ টি শাখার ২৭ টি গ্রামে, ২৭টি শহরে। এবছর খোলা হবে আরও ১০টি শাখা। তবে প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ব্যাংকের শাখা অনেক কম।
 
তিনি বলেন, গুনগত মান ঠিক রেখে ব্যাংক পরিচালনার চেষ্টা করছি। আমাদের লেটার অব ইনটেন্ট দেওয়ার সময় বলা হয়েছিল, কোন অবস্থাতেই যেন খেলাপিতে পরিণত না হয় এবং উদ্যোক্তা তৈরিতে উদ্যোগী হয়। আমরা সেই নির্দেশনা মেনে চলার চেষ্টা করছি।
 
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোঃ রফিকুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ২০১৬ সালে আমরা দেড়শ’ কোটি টাকা মুনাফা করেছি। ব্যালেন্সশিট ৪ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা। কোন খেলাপি ঋণ নাই। সবধরনের ইনডিকেটরে এগিয়ে যাচ্ছি।
 
এসময় ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক ড. সৈয়দ হাফিজুর রহমান জ্যেষ্ঠ অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম ফারুখ, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা জালাল উদ্দিন আহমেদসহ প্রধান কার্যালয়ের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
অনুষ্ঠান শেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কর্মকর্তাদের নিয়ে কেক কাটেন চেয়ারম্যান।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৭
এসই/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।