ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানকে সংবর্ধনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭
অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানকে সংবর্ধনা অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানকে সংবর্ধনা-ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহানকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) ও বণিকবার্তা। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রেহমান সোবহানের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দিয়ে উত্তরীয় পরিয়ে দেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাতে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে “গুণীজন সংবর্ধনা ২০১৭” অনুষ্ঠানে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রেহমান সোবহানের হাতে তার একটি পোর্ট্রেট তুলে দেন বণিকবার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ ও বিআইডিএস’র মহাপরিচালক কেএএস মুরশিদ।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য ছিল অনেক বেশি। পূর্ব পাকিস্তানের উপর পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিষয়টি আলোচনায় থাকলেও সেটিকে অর্থনৈতিক তত্ত্ব হিসেবে অধ্যাপক রেহমান সোবহান তুলে ধরেন।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেহমান সোবহানের অবদানকে স্যালুট জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, রেহমান সোবহান অর্থনৈতিক ন্যায় ও সাম্য সৃষ্টির জন্য সব সময় কাজ করেছেন। স্বাধীনতার দাবি আরও জোরদার হয় তার এ বৈষম্যকে অকাট্য যুক্তি দিয়ে প্রচারের মাধ্যমে। জাতি গঠনেও তার ভূমিকা অনেক।

বণিকবার্তা ও বিআইডিএস যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাঈদুজ্জামান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থউপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দীন মাহমুদ, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সহধর্মিনী রওনক জাহানসহ আরও অনেকে।

বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিআইডিএস-র মহাপরিচালক ড. কে এ এস মুরশিদ এবং সংবিধানবিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন।

অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, আমার জীবনের দুটি অংশে আমি কাজ করেছি। একটি হলো, গবেষক হিসেবে, অন্যটি লেখালেখি করে।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করাই আমার সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ছিল। তাই আমার কাছে অর্থনৈতিক তত্ত্বের চেয়ে সাম্যই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক অর্থনীতি সামনে চলে আসে। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক অর্থনীতিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাই যে কোনো নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে তিনি অর্থনীতিবিদদের অভিমতকে গুরুত্ব দিতেন।

বিআইডিএস’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বণিকবার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। এরপর রেহমান সোবহানের কর্মময় জীবনের ওপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে শ্যামা রহমানের সংগীত পরিবেশন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৭
এসই/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad