ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

'রাজস্ব হয়রানি রোধে আসছে ই-মেইল'

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৭
'রাজস্ব হয়রানি রোধে আসছে ই-মেইল' কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (উত্তর) আয়োজিত সেমিনার। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজস্ব হয়রানি রোধ, অভিযোগ, সমস্যা ও পরামর্শ জানাতে তিনটি ই-মেইল খোলা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (উত্তর) আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

এ সপ্তাহে তিনটি ফিডব্যাক ই-মেইল তৈরি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কাস্টমস, আয়কর ও ভ্যাট নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে, কর্মকর্তারা হয়রানি করলে কিংবা অভিযোগ, পরামর্শ থাকে সেসব ই-মেইলে জানাতে পারবেন। এতে তাৎক্ষণিক সমাধান দেওয়া হবে।


 
তিনি বলেন, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ধরনের উদ্বেগ রয়েছে। তাদের আশ্বস্ত করার জন্য ডিসিসিআই’র সঙ্গে পার্টনারশিপ আরো সৃদৃঢ় করা হয়েছে।
 
আমরা সব ব্যবসায়ীদের নিয়ে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করতে চাই। ১ জুলাই ২০১৭ সালে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হবে। ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের জন্য আর মাত্র ৫ মাস ১৩ দিন বাকি রয়েছে। এ আইন হয়রানি বন্ধের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের জন্য কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসবে-বলেন চেয়ারম্যান।
 
তিনি বলেন, ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে সুশাসন ও উন্নতর আধুনিক ব্যবস্থাপনা দিয়ে ব্যবসায়ীদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। দুর্নীতি, হয়রানি, শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অসদাচরণের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। বহু কর্মকর্তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। কমিশনারকে পদানবতি করে যুগ্ম কমিশনার করা হয়েছে।
 
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব আহরণের জন্য ব্যবসায়ীদের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে হবে। রাষ্ট্রের কল্যাণে আহরিত ভ্যাট যাতে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যথাযথভাবে জমা হয় সে দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
 
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের ওপর করের বোঝা বাড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। করনেট বিস্তৃত করা ও কর আহরণের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
 
অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এনবিআরের উদ্যোগে ইসিআর আমদানি করে ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করা হবে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ভ্যাট অনলাইনের সার্ভারের সঙ্গে ইসিআর সংযোগ থাকবে।
 
কোনো রাজস্ব কর্মকর্তা ব্যবসায়ীদের হয়রানির সাহস পাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের ভ্যাট, শুল্কসহ তিনটি গোয়েন্দা সংস্থা গভীর ভাবে অনুসরণ ও পর্যবেক্ষণ করছে। কোথাও কোনো হয়রানি, অনিয়ম হলে উপযুক্ত প্রতিকার নেওয়া হবে।
 
তিনি বলেন, এনবিআরকে ডিজিটাল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। রাজস্ব আহরণের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। আমরা করের বোঝা না বাড়িয়ে নেট সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছি। এখন জনগণ রাজস্ব দিতে আর পিছপা হয় না। কর দেওয়ার সময় উৎসব উৎসব আমেজ বিরাজ করে।
 
করদাতা ও ব্যবসায়ীদের সম্মানের প্রতীক হিসেবে রাজস্ব বোর্ডের সামনে ফুলের বাগান তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৎ করদাতারা যেমন কর দেয় তেমনি অসৎ করদাতারা ফাঁকি দেয়। বাগানে স্থাপিত রয়েল বেঙ্গল টাইগার হচ্ছে ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রতীক।
 
সেমিনারে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (উত্তর) কমিশনার মো. মাসুদ সাদিকের সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ, এনবিআর সদস্য (মূসক নীতি) ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, সদস্য (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) সুলতান মো. ইকবাল, সদস্য (মূসক গোয়েন্দা ও নিরীক্ষা) খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম খান।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৭
আরইউ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।