ঢাকা: সামষ্টিক অর্থনীতির ঝুঁকি মোকাবিলা করে বাজেট বাস্তবায়ন করা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে হবে বলে মনে করছেন দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তারা এমনটিই মনে করেন।
ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
২০১১-১২ অর্থ বছরের নানামুখি দিক বিশ্লেষণ করতে গিয়ে মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগে মন্দাভাব, বৈদেশিক বিনিয়োগ হ্রাস, রেমিটেন্স আয়ে নেতিবাচক প্রভাব, ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট, পুঁজিবাজারে অস্থিরতা, কর্মসংস্থান, বৈদেশিক সহায়তা হ্রাস, উন্নয়ন প্রশাসনে অদক্ষতা-সমন্বয়হীনতা দুর্বল আর্থিক ব্যবস্থাপনা সর্বোপরি রাজনৈতিক অস্থিরতাকেই এর কারণ হিসাবে দেখান তারা।
এ সময় বক্তারা সরকারের ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রাকে অবাস্তব বলেও মনে করেন।
তারা বলেন, সাড়ে ৭ শতাংশ মূল্য স্ফীতি রেখে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন অবাস্তব।
তাদের মতে, বাজেট ঘটতি পূরণ করতে গিয়ে তারল্য সঙ্কট আরও প্রকট হবে এবং মূল্য স্ফীতিকে তা আরও উৎসাহিত করবে।
এ সময় তারা বড় আকারের এ বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের কোনও সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা ও কৌশল নেই বলেও মনে করেন।
তাদের মতে, ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নিলে বেসরকারি খাত নিরুৎসাহিত হবে। সেইসঙ্গে সুদের হার বেড়ে যাবে। এতে সামষ্টিক অর্থনীতির উপর চাপ বাড়বে।
আলোচনায় অংশ নেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. এবিএম মির্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির (ইআরএফ) সাধারণ সম্পাদক ড. তৌফিক চৌধুরী, এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি মীর নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
এতে সভাপতিত্ব করেন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) সভাপতি মনোয়ার হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১১