ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সবজির দাম কমলেও বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম

করিমুল বাশার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১১
সবজির দাম কমলেও বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম

ঢাকা: শাক-সবজির দাম কিছুটা কমলেও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েই চলেছে। বিক্রি বাড়ায় সবজি ব্যবসায়ীরা খুশি হলেও ভোক্তাদের মনে স্বস্তি নেই।



শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু, পটল, ঢেঁড়শ, করল্লাসহ শাক-সবজির দাম কমলেও লাগামহীনভাবে বাড়ছে চাল, লবণ, চিনি, আদা, রসুনসহ বিভিন্ন দ্রব্যের দাম। মাছ, মুরগি, গরু মাংসের দাম গত সপ্তাহের অবস্থায় রয়েছে।

নগরীর কারওয়ানবাজার, মোহাম্মদপুুর, হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে চালের সর্বনিম্ন দাম প্রতি কেজি ৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৮ টাকা ও এর আগের সপ্তাহে ছিল ৩৬ টাকা। চিনি প্রতি কেজি ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৬ টাকা। রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৪০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ টাকা। আদা প্রতি কেজি ৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা।

অবশ্য পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫ টাকা। ডাল প্রতি কেজি ৮৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯০ টাকা।

প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২ টাকা। এছাড়া বরবটি ৩০-৩৫, করল্লা ৪৫-৫০, টমেটো ৩০-৩৫, পটল ২২-২৫, গাজর ৩০-৩৫, কাঁচামরিচ ৩০-৪০, এবং লাউ প্রতিটি ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহের হিসেবে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ, মুরগি, গরু, খাসির মাংসের দাম।

প্রতি কেজি গরুর মাংস ২৬০, রুই মাছ ১৮০-২০০, খাসির মাংস ৪০০, দেশি মুরগি (বড়) ৩২৫-৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মোহাম্মদপুর বাজারে এক খুচরা ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, যে হারে দ্রব্যের দাম বাড়ছে তাতে বেচাকেনা বাড়ার প্রশ্নই আসে না।

কারওয়ানবাজারের এক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে বলেন, চিনির দাম দুই সপ্তাহে আট টাকা বেড়েছে। তার ধারণা কোনো সিন্ডিকেট চিনির দাম বাড়াচ্ছে।

দ্রব্যেমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণ জানতে চাইলে অধিকাংশ খুচরা বিক্রেতাই জানান, যতদিন অসাধু পাইকারদের সিন্ডিকেট বন্ধ করা যাবে না, ততদিন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করা সম্ভব নয়।

কারওয়ানবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ইমরান হোসেনের কাছে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণ জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দ্রব্যের দাম বাড়ার জন্য সরকার দায়ী নয়, কিছু ব্যবসায়ীর কারণেই দাম বাড়ে।

অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, পণ্যের দাম বাড়ানো হয় কিন্তু তাদের আয় বাড়ানোর কোনো পদক্ষেপ নেই সরকারের।

সবজির দাম কমায় ক্রেতাদের অনুভূতি কি তা জানতে চাইলে বেশির ভাগ ক্রেতাই বলেন, একদিকে দাম কমলে অন্যদিকে বাড়ে। অর্থাৎ সবজির দাম কমলেও আদা, রসুন, চিনিসহ বিভিন্ন দ্রব্যের দাম বেড়েছে। তাই সবজির দাম কমায় খুশি হওয়ার কিছু নেই বলে তারা মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।