ঢাকা: পুঁজিবাজারে বহুল আকাক্সিক্ষত পাঁচ হাজার কোটি টাকার বাংলাদেশ ফান্ডের নিবন্ধন সনদ ইস্যু করেছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। একই সঙ্গে ফান্ডের উদ্যোক্তাদের অংশের দেড় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সকালে ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপক ও উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে নিবন্ধনের কাগজপত্র ও ১০ কোটি টাকা জমা দেওয়ার পর বিকেলে এসইসি থেকে সনদ ইস্যু করা হয়।
ফলে বৃহস্পতিবার থেকেই এই ফান্ডের অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ শুরু করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে এসইসির সদস্য ইয়াসিন আলী সাংবাদিকদেও বলেন, ‘বাংলাদেশ ফান্ড নিবন্ধনের কাগজপত্র ও নিবন্ধন ফি কমিশনে জমা হওয়ার পর দ্রুততার সঙ্গে এটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ’
সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে ফান্ডটির নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ফান্ড পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ ফান্ডের বিনিয়োগ শুরুর বিষয়ে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফায়েকুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকেই পুঁজিবাজারে বাংলাদেশ ফান্ডের কার্যক্রম শুরু হবে। এসইসি থেকে এ ফান্ডের নিবন্ধন সনদ এবং বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। ’
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ফান্ডের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
আইসিবির চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন ফান্ডের উদ্বোধন করবেন।
সকাল ১১টায় লেনদেন শুরু হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ ফান্ডের বিনিয়োগ শুরু হবে।
গত ১৮ এপ্রিল এসইসি বাংলাদেশ ফান্ড নামে ৫ হাজার কোটি টাকার মেয়াদহীন মিউচ্যুয়াল ফান্ড অনুমোদন করে। ফান্ডের ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ান হিসেবে কাজ করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। সম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
এর আগে পুঁজিবাজারের পতনের ধারা রোধ করতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ৫ হাজার কোটি টাকার ফান্ড গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয় আইসিবি।
কয়েক দফা আলোচনার পর ৬ মার্চ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
গত ২৯ মার্চ এসইসিতে ফান্ড নিবন্ধনের আবেদন জমা দেওয়া হয়।
১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এই ফান্ড অনুমোদন করা হয়। গত ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ফান্ডের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
বাংলাদেশ ফান্ডের আকার হবে ৫ হাজার কোটি টাকা।
এরমধ্যে আটটি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান দেড় হাজার কোটি টাকা যোগান দিয়েছে। এরমধ্যে আইসিবি ৫০০ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংক ২৫০ কোটি টাকা, সোনালী ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা, সাধারণ বীমা করপোরেশন ১০০ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংক ১০০ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ১০০ কোটি টাকা এবং জীবন বীমা কর্পোরেশন ৫০ কোটি টাকা দিয়েছে।
ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। এছাড়া আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি বাংলাদেশ ফান্ডের ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ানের দায়িত্ব পালন করছে।
ওপেন অ্যান্ড (মেয়াদহীন) মিউচ্যুয়াল ফান্ড হিসেবে গঠিত এই বাংলাদেশ ফান্ডের মোট অর্থের ৭৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে এবং বাকি ২৫ শতাংশ মুদ্রাবাজারের অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তহবিলের আকার বাড়ানো যাবে।
বাংলাদেশ সময় : ১৩৫৬ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১১