ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন

ক্ষুদ্রবীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রক ও নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া ঠিক করতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১১

ঢাকা: ক্ষুদ্রবীমার ব্যাপকতা বাড়ানোর আগে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়া সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে। তৃণমূলের মানুষকে সচেতন করতে হবে।

একই সঙ্গে এটাকে কীভাবে আরও জনবান্ধব করা যায় তা দক্ষতার সঙ্গে নির্ধারণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে ক্ষুদ্রবীমায় ঝুঁকি বেশি। সাধারণ মানুষ বিষয়টি জানেন না। এর প্রিমিয়াম নির্ধারণ করতে হবে প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে।

মঙ্গলবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত ‘প্রভিশন অব মাইক্রোইন্স্যুরেন্স: দ্য চয়েস অ্যামাং ডেলিভারি অ্যান্ড রেগুলেটরি মেকানিজম’ শীর্ষক সেমিনারের গবেষণা প্রবন্ধে এসব পরামর্শ তুলে ধরা হয়।

প্রবন্ধটি তুলে ধরেন কানাডার কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ এম আহসান।

প্রবন্ধে বলা হয়, দরিদ্র মানুষের কাছে সাধারণ ধারার বাণিজ্যিক বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো যায় না। কারণ ঝুঁকি বেশি। তাই ুদ্রবীমা পদ্ধতি শিগগিরই বাড়ানো উচিত। ৫ থেকে ১০ বছর মেয়াদে এই বীমা চালু করা যেতে পারে।

বলা হয়, যেহেতু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) এবং ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রান্তিক মানুষকে নিয়ে কাজ করে তাই এই বীমা তাদের মাধ্যমে করানো যেতে পারে। গ্রাহক শ্রেণী এবং এলাকা ভেদে এর ধরণ ভিন্ন হতে পারে।

তবে এনজিও ও ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম থেকে বীমা কার্যক্রম সম্পূর্ণ আলাদা হতে হবে। কোনোভাবেই একসঙ্গে মেলানো যাবে না।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক এমকে মুজেরি।

সেমিনারে এনজিও প্রতিনিধি, বীমা কোম্পানি প্রতিনিধি, ক্ষুদ্র ঋণ দাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বিআইডিএস এর সহযোগিতায় গবেষণায় সহোযোগী গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির রিসার্চ ফেলো মিনহাজ মাহমুদ।    

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, ফ্রেব্রুয়ারি ১৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।