ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার এখনই আসছে না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১১
‘সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার এখনই আসছে না’

ঢাকা: সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার এখনই বাজারে না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েব সাইটে এ সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে: সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কোনো শেয়ারই এখন বাজারে ছাড়া হবে না।

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাজারে আসার সময় নির্ধারণ করে দিতে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণার পর মাত্র চার দিনের মাথায় এখনই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হলো।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে এ শেয়ার কবে নাগাদ বাজারে আনা হবে সে ব্যাপারে এ নোটিশে কিছু জানানো হয়নি।

ডিএসই’র ওয়েবসাইটে খবরটি পরপর দুই বার প্রচার করা হয়েছে।

সোমবার সকালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও এসইসি চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খন্দকারের মধ্যকার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে আনতে সবক’টি  প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে সময় বেঁধে দেন।

ওই বৈঠকে ২১টি কোম্পানি ও সংস্থার শেয়ার বাজারে ছাড়ার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট দিনণ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এগুলোর মধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে আছে; প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারের হাতে থাকা আরও শেয়ার ছেড়ে দেওয়া হবে।

যেসব শেয়ার বাজারে আসার কথা ছিল:

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ মাসেই ২২ ফেব্রুয়ারি মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও যমুনা অয়েলের সরকারের হাতে থাকা শেয়ার পুঁজিবাজারে আসার কথা ছিল।

এরপর ৩১ মার্চ আসার কথা তিতাস গ্যাস, ডেসকো, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ও এলপিজিএল’র শেয়ার।

৩০ এপ্রিলের মধ্যে টেলিফোন শিল্প সংস্থা ও সাবমেরিন ক্যাবলস লিমিটেডডের শেয়ার।

রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার বাজারে দিতে হবে মে মাসের মধ্যে।

৩০ জুনের মধ্যে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ, চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ১০ শতাংশ, বাংলাদেশ কেবল্স শিল্প লিমিটেড, এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার বাজারে ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

৩১ জুলাই বাজারে আসবে বাখরাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড ও বিটিসিএলের শেয়ার বাজারে ছাড়ার কথা বলা হয়েছিল ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।

এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকা বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের হোটেল শেরাটনের ২০ শতাংশ শেয়ার ৩০ মার্চ ও হোটেল ইন্টারন্যাশনাল লিটিটেডের সোনারগাঁও হোটেলের ৩০ শতাংশ শেয়ার ৩০ জুনের মধ্যে বাজারে ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এর আগে এ দু’টি প্রতিষ্ঠান সম্পদমূল্য চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ (অ্যাসেট ইভাল্যুয়েশন) শেষ করা হবে।

কর্ণফুলী পেপার মিলসের শেয়ার বাজারে আসার কথা ছিল আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

এছাড়া অ্যাসেট ভ্যালুয়েশনের অপোয় থাকা কোম্পানিগুলো হল জিটিসিএল, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস, জালালাবাদ গ্যাস ও পিজিসিবি। পরে এসব কোম্পানির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।

ওইদিন তিনি ঘোষণা করেছিলেন, নির্দিষ্ট তারিখে শেয়ার বাজারে ছাড়তে ব্যর্থ হলে ওইসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের পদত্যাগ করতে হবে।

অন্যদিকে বিভিন্ন কারণে ‘রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, সিলেট গ্যাস ফিল্ড, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড, বঙ্গবন্ধু সেতু, পদ্মা সেতু,  জিইএম কোম্পানি লিমিটেড ও বাংলাদেশ ব্লেড ফ্যাক্টরির শেয়ার বাজারে ছাড়া হবে না শেয়ার বাজারে ছাড়া হবে না বলে অর্থমন্ত্রী জানান।

বাংলাদেশ সময় ১৩২০ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।