ঢাকা: সপ্তাহের ২য় দিন সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে(ডিএসই) দরপতন শুরু হয়েছে। লেনদেনের শুরুতেই ডিএসই সূচক ৪০০ পয়েন্টের বেশি নেমে যায়।
সকাল ১১টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৮টি কোম্পানির। কমেছে ২২৩টি কোম্পানির দাম।
পুঁজিবাজারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা নেই। বোকারেজ হাউজগুলোতে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতও তেমন নেই।
এদিকে ব্যাপক দরপতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে আসে। তারা বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মধুমিতা ভবনের বেশ কয়েকটি তলার কাঁচ ভেঙে দিয়েছে তারা। ছবি তোলার সময় মোহনা টিভির ক্যামেরাম্যান সালামকে মারধর করে বিনিয়োগকারীরা।
ডিএসই’র সামনে পুলিশের সতর্ক অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসই’র প্রধান সূচক ৪৭৪ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৫২ পয়েন্টে নেমে এসেছে, যা গত বছরের ২৫ মে’র চেয়ে নিচে । গত বছরের ২৫ মে ডিএসই’র প্রধান সূচক ছিল পাঁচ হাজার ৯৮৮ পয়েন্ট। এক ঘণ্টার ব্যবধানে সবক’টি কোম্পানির দরপতন হয়। ডিএসই’র সাধারণ সূচক নেমে যায় ৩১৪ পয়েন্টে। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় তারা রাস্তায় নেমে বিােভ প্রদর্শন করেন। ডিএসই’র সামনের রাস্তা প্রায় তিনঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন বিনিয়োগকারীরা।
গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে চারদিনই পুঁজিবাজারে দরপতন হয়। গড়ে সাধারণ সূচক কমে ৫৯৮ পয়েন্ট।
অর্থমন্ত্রী এ সপ্তাহেই পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা আসবে বলে উল্লেখ করলেও তার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা এমনটাই বলেছেন পুঁিজবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১১