ঢাকা: বাংলাদেশের অর্থনীতি নানামুখি চ্যালেঞ্জে। যা উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে।
শনিবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এই মূল্যায়ন তুলে ধরে।
২০১০-২০১১ অর্থ বছরের শেষ অর্ধ-বার্ষিক পরিস্থিতি নিয়ে সিপিডির ‘প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি এবং মুদ্রানীতি: বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক ঐ গোলটেবিল আলোচনায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান এসব কথা বলেন।
মোস্তাফিজুর রহমান ুদ্র অর্থনীতি, সম্প্রতি ঘোষিত মুদ্রানীতি এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটের আলোকে প্রবৃদ্ধি অর্জনে করণীয় তুলে ধরে বলেন, রাজস্ব আয়, সরকারি বিনিয়োগ কর্মসূচি, আর্থিক ঘাটতি, মূল্যস্ফীতির গতিধারা, পুঁজিবাজার পরিস্থিতি, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক মুদ্রাপ্রবাহ, বৈদেশিক সাহায্য, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এবং ঋণ আদায় পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। আর এসব কারণে ঘোষিত ৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন অসম্ভব হয়ে পরবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের জন্য উৎপাদনশীল খাতকে উৎসাহ দিতে হবে। সঙ্গে সেবা খাতের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। কারণ জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে এর অবদান বাড়ছে।
সিপিডি বলছে, প্রতি বছর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূূচির আকার বাড়ছে। কিন্তু বাস্তবায়ন সন্তোষজনক নয়। বিশেষ করে প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং বরাদ্ধকৃত অর্থ ব্যবহারে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের অবস্থা দূর্বল বলেও তুলে ধরা হয় মূল্যায়নে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এক বিলিয়ন ডলারের ঋণ দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক স্বাধীনতার জন্য ব্যাঘাত হতে পারে। একই সঙ্গে ঋণের ১১ টি শর্তও উন্নয়নে বাধা হবে।
মূল্যায়নে বলা হয়, আইএমএফ ঋণের শর্ত জাতিসংঘ-ঘোষিত বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রেক্ষাপট ২০১১ তে করা সুপারিশমালারও পরিপন্থি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ কমপক্ষে চার বার আইএমএফ’র ঋণ প্রত্যাখান করেছে। এমনকি তাদের সুপারিশমালাও। কিন্তু কেন আবার এই ঋণ বাংলাদেশ নিতে যাচ্ছে তা স্পষ্ট নয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ফ্রেব্রুয়ারি ১৩, ২০১১।