ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ডিএসইতে ৩ কার্যদিবসে সূচক কমেছে ৯১৫ পয়েন্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১১
ডিএসইতে ৩ কার্যদিবসে সূচক কমেছে ৯১৫ পয়েন্ট

ঢাকা: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দরপতন অব্যাহত রয়েছে। সোমবার ডিএসইতে সাধারণ মূল্য সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩২৪ দশমিক ৫১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৯৪ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে নেমে আসে।

ধারবাহিক দরপতনের কারণে গত ৩ কার্যদিবসে ডিএসইতে সূচক কমেছে ৯১৫ পয়েন্ট।
 
ধারাবহিকভাবে সূচকের পতনের পাশাপাশি লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় ডিএসইর বাজার মূলধনও কমছে।

সোমবার ডিএসইর বাজার মুলধন আগের দিনের চেয়ে ১১ হাজার ২২২ কোটি টাকা কমে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকায় নেমে আসে। এ নিয়ে গত তিন কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৩১ হাজার ৩৪ কোটি টাকা।
 
সোমবার বড় ধরনের দরপতনের কারণে ডিএসইতে ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিমেন্ট, সিরামিকস, টেক্সটাইল, সেবা ও আবাসন, ওষুধ ও রসায়ন, টেলিকমিউনিকেশন এবং আইটি খাতের লেনদেন হওয়া সব শেয়ারের দাম কমেছে।

লেনদেন হওয়া ২৫৫ টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১২ টির, কমেছে ২৪১ টির এবং ২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত থাকে।

দিনশেষে ডিএসই’তে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০৯ কোটি ৯৭ লাখ ৫১ হাজার টাকা। এটি আগের দিনের চেয়ে ৯৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা কম।
 
অন্যদিকে ধারাবাহিক দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীরা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন। একইসঙ্গে বাজারের এই অবস্থার জন্য সরকারের উদাসিনতা দায়ী করে তারা অর্থমন্ত্রীর পতত্যাগ দাবি করেন।
 
এ ব্যাপারে স্বপন, কালাম ও ফারুক নামের কয়েকজন বিনিয়োগকারী হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী এবং ডিএসই ও সিএসই সভাপতি আহবানে সাড়া দিয়ে আমরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছি। অথচ বাজারের বর্তমান অবস্থায় সরকার কোনো দায়িত্ব নিচ্ছে না। ’
 
অন্যদিকে বাজারের বর্তমান অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের আবারো আতঙ্কিত না হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

এ ব্যপারে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাজার এই অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের ধয্য ধরার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু বেশির ভাগ বিনিযোগকারী তা না করে আতঙ্কিত হয়ে কম দামে শেয়ার বিক্রি করছে। এতে করে বাজার আরো পতন হচ্ছে। ’

অল্প দিনের মধ্যে বাজারে স্থিতিশলিতা ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সোমবার ডিএসইতে একদিনের ইতিহাসে ৬ষ্ঠ সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি ডিএসইতে একদিনে সর্বোচ্চ ৬৩৫ পয়েন্ট সাধারণ মূল্য সুচক কমে যায়। এটি এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ সুচকের পতন। সূচকের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পতন হয় ৯ জানুয়ারি ৬০০ পয়েন্ট। তৃতীয় সর্বোচ্চ পতন হয় গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ৫৫১ পয়েন্ট, চতুর্থ সর্বোচ্চ পতন হয় গত ৮ ডিসেম্বর ৫৪৭ পয়েন্ট। ৫ম সর্বোচ্চ পতন হয় ৬ ফেব্রুয়ারি ৪০৬ পয়েন্ট। ৭ম সর্বোচ্চ দরপতন হয় গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ২৮৪ পয়েন্ট, ৮ম সর্বোচ্চ পতন হয় চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ২৩৭ পয়েন্ট এবং ৯ম সর্বোচ্চ দরপতন হয় ১৯৯৬ সালের  ৬ নভেম্বর ২৩৩ পয়েন্ট কমে যায়। প্রতিটি দরপতনেই বাজারে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে।

বাংলাদেশের সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।