ঢাকা: একখাতের ঋণ নিয়ে তা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অনেক ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিষ্ঠান এক খাতে ঋণ নিয়ে অন্যখাতে বিনিয়োগ করেন।
এদিকে ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে গভর্নরের এক বৈঠকে এক খাতের ঋণ অন্যখাতে বিনিয়োগের শর্ত শিথিল করেছে। নির্ধারিত সময়ে কোনও ব্যাংক বিতরণ করা ঋণ সমন্বয় করতে ব্যর্থ হলে তা বাড়ানো হবে।
সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ’র সভাপতি কে মাহমুদ সাত্তার সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং-এ সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিদ্যমান পুঁজিবাজার পরিস্থিতি বাংলাদেশ ব্যাংক কোনওভাবে হস্তক্ষেপ করছে না। বরং বাজারে তারল্য সরবরাহ করার লক্ষ্যে সহযোগিতা করছে। পাশাপশি বাজারে দরপতনে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কের কিছু নেই। বাজার দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।
তিনি জানান, একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। এর অংশ হিসেবে সিআরআর এবং এসএলআর বৃদ্ধি করে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু বাজারে তার চেয়ে বেশি তারল্য সরবরাহ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ করছে এসইসি। তাই দরপতনে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনও হাত নেই।
সাংবাদিকদের ব্রিফিং কালে উপস্থিত ছিলেন মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি আনিস এ খান ও সোনালী ব্যাংকের এমডি হুমায়ুন কবির।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১০