ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পুঁজিবাজারে ধস: চট্টগ্রামে অর্থমন্ত্রী ও গভর্নরের পদত্যাগ দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১১

চট্টগ্রাম: পুঁজিবাজারে ভয়াবহ ধসের পর সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এ সময় তারা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের পদত্যাগ দাবি করেন।



সেইসঙ্গে ইউনিপে টু, স্পিক এশিয়াসহ সব ধরনের মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি বন্ধেরও দাবি জানান।

এর আগে শেয়ার বাজারের অব্যাহত দরপতন শুরু হলে সকাল ১১ টা ৫০ মিনিটে দেশের দু’ পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)’র লেনদেন বন্ধ করে দেয় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।

এ ঘোষণার পর দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদের শেখ মুজিব রোডে সিএসই ভবনের সামনে রাজপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েক শ’ বিনিয়োগকারী।

এর আগে সকাল ১১টা থেকেই বিনিয়োগকারীরা সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেন। একই সময় নগরীর জামালখান এলাকায় চট্টগ্রাম প্রেসকাবের সামনেও বিক্ষোভ শুরু করেন বিনিয়োগকারীরা।

পরে দুপুর পৌনে একটার দিকে প্রায় অর্ধশত পুলিশ সিএসই ভবনের সামনে উপস্থিত হয়ে বিনিয়োগকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে পার্শ্ববর্তী গলির ভেতর নিয়ে যায়। বাধা পেয়ে বিনিয়োগকারীরা সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদণি করেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা তপন রায় বাংলানিউজকে বলেন, ‘শেয়ারবাজারের পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল (রোববার) অর্থমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা একান্তই দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য। একটি অযোগ্য সরকারের অর্থমন্ত্রীই শুধু এ ধরনের কথাবার্তা বলতে পারেন। তার বক্তব্যে শেয়ার বাজারের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তার পদত্যাগ করা উচিৎ। ’

ইমরুল কায়েস নামে এক বিনিয়োগকারী বলেন, ‘শেয়ারবাজারে আমি ২৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম। আমার ৮ লাখ টাকাই আমি পুঁজিবাজারে হারিয়েছি। ’

শেয়ারবাজারে ১৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ৯ লাখ টাকা হারিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন শিমুল মহিউদ্দিন নামে আরও এক বিনিয়োগকারী।

এ ঘটনার পর বেলা দেড়টার দিকে ১৫ জন বিনিয়োগকারী সিএসইতে গিয়ে একটি স্মারকলিপি দেন।

স্মারকলিপিতে তারা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, এসইসি’র চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খন্দকারের পদত্যাগ দাবি করেন।

সেইসঙ্গে পুঁজিবাজারের সঙ্কট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তপে দাবি করে একজন সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে শেয়ার বাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি তদন্তের দাবি করা হয়।

এছাড়া মিডিয়ার সামনে কথা বলার সময় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনসহ ১১ দফা দাবি দেওয়া হয়।

বিনিয়োগকারীদের স্মারকলিপি এসইসি-তে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সিএসই’র প্রধান নির্বাহী ড. এমএ মামুন।


বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।