ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

অর্থমন্ত্রীকে চট্টগ্রাম চেম্বার সভপতির জরুরি বার্তা: তিন দফা সুপারিশ

তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো চিফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১১
অর্থমন্ত্রীকে চট্টগ্রাম চেম্বার সভপতির জরুরি বার্তা: তিন দফা সুপারিশ

চট্টগ্রাম: ব্যাংক সুদের হার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও ডলারের দামে স্থিতিশীলতা আনতে অর্থমন্ত্রীর কাছে তিন দফা সুপারিশ পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম চেম্বার। চেম্বার সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম রোববার এক জরুরি ফ্যাক্স বার্তায় এ সুপারিশগুলো পাঠান।



চিঠিতে মুরাদ ইব্রাহীম দেশে অর্থনীতিতে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রাখতে ও প্রবৃদ্ধি সুনিশ্চিত করতে এসব সুপারিশের প্রতি অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

ব্যাংক সুদের হার স্থিতিশীল করার প্রসঙ্গে এ ফ্যাক্সবার্তায় তিনি বলেন, বিশ্বমন্দার পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগ ও বিদেশে কর্মসংস্থান সংকুচিত হওয়ায় ব্যাংক সুদের হার একক সংখ্যায় নির্ধারণ করা না হলে বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তীব্র বিরূপ প্রভাব পড়বে।

নগদ টাকার সংকট, কলমানির উচ্চ হারের সুদ ও আমানতের সুদের হার ১৩-১৫% পর্যন্ত বৃদ্ধিকে অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে মুদ্রাস্ফীতি ও নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিসহ দরিদ্র ও সীমিত আয়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীলতা প্রসঙ্গে চিঠিতে চিটাগং চেম্বার সভাপতি তার সুপারিশে বলেন, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোগত ঘাটতির কারণে বিগত কয়েক বছর যাবৎ শিল্পায়ন ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নেতিবাচক অবস্থা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা সন্তোষজনক বলে ব্যাপক প্রচার করা হলেও বাস্তবে ডলারের দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। ঋণপত্র খুলে ডলার বরাদ্দ কম পেয়ে বিদেশি রপ্তানিকারকদের অর্থ পরিশোধে অনিশ্চিয়তার কারণে এড কনফার্মেশন চার্জ বৃদ্ধির আলামত দেখা যাচ্ছে যা আমদানি ব্যয় বৃদ্ধিসহ বিপুল সংখ্যক ভোক্তাসাধারণের স্বার্থকেই তিগ্রস্ত করবে।

ডলারের দাম স্থিতিশীল করার সুপারিশ করে মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম বলেন, নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধিসহ শিল্প কারখানার কাঁচামাল আমদানি ও ফিনিশ্ড প্রোডাক্টের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির প্রবণতা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রতিনিয়ত প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ’র ঘোষণা আসলেও বাস্তবে ডলার মূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে বিলম্ব, বিদেশি রপ্তানিকারকদের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টিসহ স্থানীয় বাজারে পণ্য মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতিসহ নানা ধরণের নেতিবাচক অবস্থার সৃষ্টি হবে যা অর্থনীতির জন্য শুভ নয়।

বাংলাদেশ সময় ১৯৪০ ঘন্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।