ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

শেয়ার বাজারে দরপতন

বিশ্লেষকরা বলছেন স্বাভাবিক, আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা

এসএম গোলাম সামদানী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১০
বিশ্লেষকরা বলছেন স্বাভাবিক, আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা

ঢাকা: টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এ বড় ধরনের দরপতন হওয়ার বিষয়টিকে বিশ্লেষকরা স্বাভাবিক বললেও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

তাদের মতে, একটি মহল পরিকল্পিতভাবে বাজারে দরপতন ঘটিয়ে কম দামে শেয়ার কিনে নিচ্ছে।



তবে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, গত কয়েক মাস ধরে যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে তাতে মূল্য সংশোধনের কোনও বিকল্প ছিল না।

ফলে বাজারের স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ীই লভ্যাংশ তুলে নেওয়ার কারণে মূল্য সংশোধন হয়েছে।

এ ব্যাপারে মঙ্গলবার পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত কয়েক মাসে বাজার বেশ ঊর্ধ্বমুখী ছিল। গত দু’দিনে কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে। এতে করে বিনিয়োগকারীদের ঝুকির পরিমাণ কমলো। এটাকে আমি স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছি। ’

অন্যদিকে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আরিফ খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাজারে বেশিরভাগ শেয়ার অতি মূল্যায়িত হয়ে পড়েছিল। বিনিয়োগকারীরা এখন লাভজনক অবস্থায় থাকায় লভ্যাংশ তুলে নিচ্ছে। এ কারণেই সাধারণ সূচক ও লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ’

বাজারের এ দরপতন সর্ম্পকে একই কথা বলেছেন প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈন আল কাসেম।

তিনি বলেন, ‘আমি এটাকে মূল্য সংশোধন ছাড়া অন্য কিছু দেখছি না। ’

তবে বিনিয়োগকারী মাসুদ পারভেজ পলাশ বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাজারে যেভাবে শেয়ারের দরপতন হয়েছে। এটাকে কোনওভাবেই ‘কারেকশন’ বলা যায় না। ’

তিনি বলেন, কারেকশন হলে একটি খাতে দরপতন হলে অন্য খাতের শেয়ারের দাম বাড়বে। কিন্তু গত দু’দিনে যা হয়েছে এটা এক ধরনের বিপর্যয়।

পারভেজের মতে, একটি মহল পরিকল্পিকভাবে শেয়ারের দরপতন ঘটিয়ে কম দামে শেয়ারগুলো কিনে নিচ্ছে। এতে করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগবারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তবে বিনিয়োগকারী রিজভী আহমেদের মতামত একটু অন্য রকম।

তিনি বলেন, বাজার কারেকশন হওয়া দরকার ছিল। তবে গত দু’দিন যেভাবে শেযারের দাম কমছে। এটাকে কারেকশন বলা যায় না।

দরপতনের কারণে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে কম দামে শেযার বিক্রি করে দিচ্ছে বলে জানান রিজভী।  

এদিকে, মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ব্যাংক বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব শেয়ারের দাম কমেছে।

এদিন লেনদেন হওয়া ২৪২টি কোম্পানির মধ্যে ২০৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। সাধারণ মূল্য সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮৫ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ৫৮৫ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে নেমে আসে।
 
গত দু’দিনে ডিএসই-তে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় বাজার মূলধন কমেছে ১২ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। একইসঙ্গে সাধারণ মূল্য সূচক কমেছে প্রায় ৩৩২ পয়েন্ট।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।