ঢাকা: তালিকাভুক্ত কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাবে কোনরকম অসঙ্গতি বা সন্দেহজনক তথ্য চিহ্নিত হলে ওই হিসাব পুনর্নিরীক্ষা করবে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)।
কমিশনের নিয়োগ করা নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের (অডিট ফার্ম) মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
কমিশন সভা শেষে এসইসি’র মুখপাত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কবীর ভুঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারে আরও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কোনও কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে ত্রুটি দেখা গেলে কমিশন প্রয়োজনে তা পুনর্নিরীক্ষা করবে। কমিশন সভায় এ সংক্রান্ত বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে বিধি অনুযায়ী পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সংশ্লিষ্টদের মতামত গ্রহণের পর বিধিমালাটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা হবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বিধিমালাটি চূড়ান্ত হলে পুনর্নিরীক্ষার ক্ষেত্রে এসইসি’র পক্ষ থেকে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়া হলেও তাদের ফিসহ সব ব্যয় ওই কোম্পানিকেই বহন করতে হবে। ’
কমিশন নিযুক্ত নিরীক্ষকের নিরীক্ষার পর কোনরকম অনিয়ম ধরা পড়লে ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার বিধিও রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, এসইসি’র এ সিদ্ধান্ত কোম্পানিগুলো কতটুকু আমলে নেবে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।
সন্দেহজনক বা অসঙ্গতিপূর্ণ আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষার জন্য এর আগেও এসইসি’র পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তখনও এসইসি’র পক্ষ থেকে নিরীক্ষক নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তাদের ফি ও অন্যান্য ব্যয় বেশ কয়েকটি কোম্পানি বহন করেনি। এ কারণেও কয়েকটি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাওনা পরিশোধ করতে পারেনি এসইসি।
পরে এসব পাওনা পরিশোধের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে এসইসি’র এই প্রস্তাব অনুমোদন না করায় নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পাওনা এখনও বুঝে পায়নি।
উল্লেখ্য, নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে প্রতারণার মাধ্যমে তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি কর ফাঁকি এবং শেয়ারবাজারে মূল্য কারসাজির পথ তৈরি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নিম্নমানের নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব প্রতিবেদন তৈরি করে কোটি কোটি টাকা কর ফাঁকি দিচ্ছে অনেক কোম্পানি। পাশাপাশি ফরমায়েশি এসব প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা।
স্থানীয় সময় ১৮০৬ ঘন্টা ১৪ নভেম্বর ২০১০