ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

হরতালেও পুঁজিবাজার চাঙ্গা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১০
হরতালেও পুঁজিবাজার চাঙ্গা

ঢাকা: হরতালের মধ্যেও চাঙ্গা ছিল পুঁজিবাজার। রোববার হরতাল চলাকালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও লেনদেন ছিল স্বাভাবিক।



টানা কয়েকদিনের মতো রোববারও ডিএসইতে ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সিরামিকস খাতের শেয়ারের বড় ধরনের দরবৃদ্ধি ঘটে।

দিনশেষে ডিএসইতে সাধারণ সূচক আগের দিনের চেয়ে ১২০ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ৩০৭ দশমিক ৭ পয়েন্টে উন্নিত হয়। এটি একদিনে সর্বোচ্চ সূচক।

অন্যদিকে রোববার লেনদেন হওয়া ২৪০টি কোম্পানির মধ্যে ১৭০টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে মাত্র ৬৭টির। আর ৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ছিল। এদিন বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় বাজার মূলধন আগের দিনের চেয়ে ৪ হাজার ২০৫ কোটি টাকা বেড়ে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩২ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। এটি একদিনে সর্বোচ্চ বাজার মূলধন।

অন্যদিকে এদিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২০২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এটি আগের দিনের চেয়ে মাত্র ৪৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা কম।

হরতালেও বাজারের এই ঊর্ধগতি প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ডিএসইর সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বাংলানিউজকে বলেন, ‘মূলত ব্যাংকের শেয়ারে দাম বাড়ার কারণেই আজও শেয়ারবাজার চাঙ্গাভাব অব্যাহত থাকে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংকের শেয়ারের দাম বাড়ার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, ব্যাংকিং খাতের পিই রেশিও এখনো অনেক কম। অন্যদিকে ব্যাংকিং খাত মৌলভিত্তি সম্পন্ন হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা ঊর্ধমুখী বাজারেও এই খাতে বিনিয়োগ করা নিরাপদ মনে করেন। ফলে ব্যাংকের শেয়ারের দাম বাড়ছে। এছাড়া প্রতিবছর এই সময়ে বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকের শেয়ারের দিকে ঝুকে পড়েন। বর্তমানে সেটিই হচ্ছে। এটিও ব্যাংকিং খাতের শেয়ার দাম বাড়ার আরেকটি কারণ। ’
 
অন্যান্য খাতের দাম বাড়া প্রসঙ্গে লালী বলেন, ‘নগদ অর্থের সরবরাহ বেশি থাকায় পুঁজিবাজারে ঊর্ধমুখী অব্যাহত রয়েছে। আর এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ অনুয়ায়ী মার্জিন লোন পুরোপুরি বন্ধ না করে এক মাসের জন্য লোন রেশিও ১ অনুপাত দশমিক ২৫ করা যেতে পারে। তারপরেও যদি বাজারের ঊর্ধগতি অব্যাহত খাতে তাহলে এক মাসের জন্য লোন রেশিও স্থগিত রাখা যেতে পারে। ’

লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো সাউথইস্ট ব্যাংক, পিপলস্ লিজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড, এনসিসি ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, এবি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, এসআইবিএল, বেক্সিমকো লিমিটেড, ইউসিবিএল, কনফিডেন্স সিমেন্ট।
 
অন্যদিকে দর বৃদ্ধিতে প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো  দেশ গার্মেন্টস্, সিএমসি কামাল, ইমাম বাটন, হাক্কানী পাল্প, কাশেম ড্রাই সেল, এএমসিএল (প্রাণ), মিথুন নিটিং, বিডি ফাইন্যান্স, বঙ্গজ লিমিটেড, সোনালী আঁশ।

দাম কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো - এটলাস বাংলা, ডেসকো, উত্তরা ফাইন্যান্স, বিচহ্যাচারি, ম্যাকসন স্পিনিং, মুন্নু জুটেক্স, পাওয়ার গ্রীড, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, মুন্নু সিরামিক্স, গ্রীণ ডেল্টা ইন্সুরেন্স।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।