ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পুঁজিবাজারে সক্রিয় বিনিয়োগকারী ২৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে

এসএম গোলাম সামদানী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১০
পুঁজিবাজারে সক্রিয় বিনিয়োগকারী ২৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে

ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজারে সক্রিয় বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ২৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। গত এক বছরে নতুন বিনিয়োগকারী সংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ।

অন্যদিকে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৬ লাখ ৩১ হাজার জন।
 
সেন্ট্রাল ডিপোজেটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য অনুযায়ী ৪ জুলাই ২০১০ রোববার পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সক্রিয় বিও (বেনিফিসারী ওনার্স) অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ২৫ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৯টি। এটি ২০০৯ সালের ৩০ শে জুন থেকে ১১ লাখ ৩২ হাজার ৭৭২টি বেশি। ২০০৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে বিও অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৭টি। এ হিসাবে গত এক বছরে ব্যবধানে বাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা দ্বিগুনের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে।
 
অন্যদিকে, ২০০৯ সালের জুন থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এক বছরে বিনিয়োগকারী বাড়ার পাশাপাশি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গড় লেনদেন বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এই সময়ে ডিএসইতে গড় লেনদেন প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বেড়ে যায়। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ডিএসইতে প্রতিদিন গড় লেনদেনের পরিমান ছিল ৩৭৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে ২০০৯-১০ অর্থবছরে গড় লেনদেন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫১ কোটি টাকা। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে গড় লেনদেন ৬৭৮ কোটি টাকা বেড়েছে।

তবে পুঁজিবাজারে যে হারে লেনদেন ও বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়েছে সে তুলনায় বাড়েনি তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা। এই সময়ে বাজারে নতুন করে ২০টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলেও এর বিপরীতে ৫০টি কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করে ওটিসিতে পাঠানো হয়েছে।   আর ওটিসিতে পাঠানোর ওইসব কোম্পানির ক্রেতা না থাকায় লেনদেন প্রায় বন্ধ রয়েছে। ফলে বাজারে এক ধরনের শেয়ার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে চাহিদা অনুযায়ী বাজারে শেয়ারের সরবরাহ না থাকায় বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম অতিমুল্যায়িত হয়ে পড়ছে। আর এই অতিমুল্যায়িত শেয়ার কিনে নিজেদের বিনিযোগকে ঝুকির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন সাধারন বিনিয়োগকারীরা।
 
এ ব্যাপারে ডিএসইর সভাপতি মো. শাকিল বিজভী বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘বাজারে প্রতিনিয়ত নতুন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়ছে এটি পুঁজিবাজরের জন্য অত্যন্ত ভালো দিক। এই নতুন বিনিয়োগকারীদের আমাদের ধরে রাখতে হবে। আর এই জন্য  প্রয়োজন বাজারে শেযারের সরবরাহ বাড়ানো। ’

শেয়ার সংকট এড়াতে সরকারের প্রতিশ্রুত ২৬টি কোম্পানির শেযার দ্রুত বাজারে ছাড়ার কথা বলেন তিনি।
অন্যদিকে ডিএসইর সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘বর্তমানে পুঁজিবাজার বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। আর এই অবস্থানকে ধরে রাখতে হলে বাজারে ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। ’

তিনি আরো বলেন, সরকারের হাতে থাকা বিভিন্ন কোস্পানির শেয়ার ছেড়ে সরকার পুঁজিবাজার থেকে প্রচুর অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। আর এই অর্থ বিদুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারে। ’
 
বাংলাদেশ সময় ১৮১২ ঘণ্টা,  ৪ জুলাই ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।