ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিএনজি স্টেশন দিনে ৩ ঘন্টা বন্ধ রাখার প্রস্তাব মালিকদের

হাসান আজাদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১০
সিএনজি স্টেশন দিনে ৩ ঘন্টা বন্ধ রাখার প্রস্তাব মালিকদের

ঢাকা: ঈদের আগেই দিনে তিন ঘন্টা করে সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখার প্রস্তাব দিলেও সরকারের কাছ থেকে এখনো কোনো সাড়া পায়নি বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনর্ভাসন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

ঈদুল আযহার বন্ধের আগের দিন পেট্রোবাংলার সঙ্গে আলোচনায় এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন নয়ন।



তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। আজ ২০ তারিখ গেল। এখনও সরকারের কাছ থেকে তেমন সাড়া পাচ্ছি না। ’

তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে আমরা পেট্রোবাংলার সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। সেখানে আমরা ছয় ঘন্টা থেকে কমিয়ে দিনে তিন ঘন্টা করে স্টেশন বন্ধ রাখার প্রস্তাব করেছি। পেট্রোবাংলা থেকে আমাদের বলা হয়েছে , আমাদের দাবি মন্ত্রীকে জানানো হবে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’

এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর বাংলানিউজকে বলেন, ‘তাদের প্রস্তাব আমরা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত হবে। ’

কবে নাগাদ সিদ্ধান্ত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগের নির্ধারিত সময় শেষ হতে এখনও সপ্তাহ খানেক বাকি আছে। এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’

বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বাড়াতে সরকার গত ১৬ আগস্ট থেকে দৈনিক বিকেল ৩টা থেকে ৯টা পর্যন্ত  সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এর বিরোধিতা করে গত ২ অক্টোবর অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা জরুরি সাধারণ সভায় সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ সাত দফা দাবিতে ১ নভেম্বর থেকে ধর্মঘটের ডাক দেয়। তারা সরকারকে ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছিলেন।

এ প্রেক্ষিতে গত ২৮ অক্টোবর সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা সাত দফা দাবি নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সময় চাইলে ধর্মঘট ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়। এ সময়ের মধ্যে সরকারের তরফ থেকে কোন সিদ্ধান্ত না এলে ২৬ নভেম্বর থেকে লাগাতার ধর্মঘটে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন সংগঠনের নেতারা।

সিএনজি অ্যাসোসিয়েশনের দাবিগুলো হচ্ছে, ছয় ঘন্টা বন্ধের ঘোষণা বাতিল, গ্যাসের চাপ সংকট ও পিক আওয়ারে রেশনিংয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণখেলাপী স্টেশনগুলোর জন্য দীর্ঘ মেয়াদী কিস্তির ব্যবস্থা করা, সকল স্টেশনে ইভিসি (ইলেকট্রিক ভলিউম ক্যারেক্টর) মিটারের রিডিং অনুযায়ী বিল নেওয়া ও গত মে পর্যন্ত যে অতিরিক্ত বিল নেওয়া হয়েছে তা সমন্বয় করা, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের লাইসেন্স ফি এক লাখ টাকা থেকে কমিয়ে ৫ হাজার টাকা এবং নবায়ন ফি এক লাখ টাকা থেকে কমিয়ে এক হাজার টাকা করা, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানির (আরপিজিসিএল ) আদায়কৃত বার্ষিক ফি প্রত্যাহার ও সিএনজি খাত সংক্রান্ত যে কোন সিদ্ধান্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন এবং কনর্ভাসন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে গ্রহণ করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮, ২০ নভেম্বর, ২০১০।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।