ঢাকা: রাজধানীর শান্তিনগর থেকে মাওয়া রোড (ঝিলমিল) পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার ফ্লাইওভার নির্মাণ করবে সরকার। এর ব্যয় হবে ২ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা।
বুধবার দুপুরে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদিত হয়েছে। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “প্রকল্প নির্মাণের জন্য কমিটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। রাজউকের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় শান্তিনগর থেকে ঢাকা-মাওয়া রোড (ঝিলমিল) পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। এর জন্য ৩ দশমিক ৪১ একর জমি অধিগ্রহণ করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬১ কোটি টাকা। আর গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনে ব্যয় হবে ১৫০ কোটি টাকা। ফ্লাইওভারটি চার লেন বিশিষ্ট হবে। ”
মন্ত্রী আরও জানান, চলতি বোরো মৌসুমের জন্য সারের চাহিদা মেটাতে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইউরিয়া ও নন-ইউরিয়া সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নন-ইউরিয়া সার আমদানির জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করা হবে।
এছাড়া ৫০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে নির্মাণাধীন রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভূমি উন্নয়নের জন্য বালি ভরাট কার্যক্রম সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে আনা ও চিত্তরঞ্জন কটন মিলের জমিতে টেক্সটাইল পল্লী স্থাপনের সম্পূর্ণ দায়িত্ব বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশনকে (বিটিএমসি) দেওয়ার প্রকল্প বাস্তবায়নের নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে বুধবারের সভায়।
এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী বলেন, “রামপালে মাটি ভরাটের কাজটি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তারা পারেনি। এখন সরকারি সংস্থাকে এই কাজ দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চুক্তি করবে। ”
তিনি জানান, বর্তমানে প্রকল্পের ভরাটযোগ্য অংশে আনুমানিক ৭৪ লাখ ১ হাজার ৫১৭ ঘনমিটার বালির প্রয়োজন হবে। প্রতি ঘনমিটার বালু ভরাটের দর সব মিলিয়ে (ভ্যাট ও আয়করসহ) ১৩০ টাকা ৫০ পয়সা ধরা হয়েছে। এতে প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৯৭ কোটি ৯৮ লাখ ১৩ হাজার টাকা ।
সূত্র জানায়, নারানগঞ্জের চিত্তরঞ্জন কটন মিলে জমির পরিমাণ ৩২ দশমিক ৬৪ একর। এ জমিতে ২১টি শিল্প প্লট ও ১টি বাণিজ্যিক প্লট স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২১টি প্লটের মধ্যে ১১টি স্পিনিং, নিটিং ও আরএমজি শিল্প স্থাপন করা হবে। ১০টি প্লট নদীর নিকটবর্তী হওয়ায় সেখানে ওয়েট প্রোসেসিং শিল্প স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তবে এ কাজগুলো কারা সম্পন্ন করবে, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানাতে বলা হয়েছে মন্ত্রণালয়কে।
সভায় উত্থাপিত রফতানি নীতি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী জানান, এটি বিবেচনাধীন রয়েছে, এ নিয়ে আরো আলোচনার প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ০৯ জানুয়ারি, ২০১৩
এসএআর/সম্পাদনা: হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর; নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর; জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর