ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

শান্তিনগর টু ঝিলমিল

প্রায় ২৭`শ কোটি টাকার নতুন ফ্লাইওভার

সাইদ আরমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৩
প্রায় ২৭`শ কোটি টাকার নতুন ফ্লাইওভার

ঢাকা: রাজধানীর শান্তিনগর থেকে মাওয়া রোড (ঝিলমিল) পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার ফ্লাইওভার নির্মাণ করবে সরকার। এর ব্যয় হবে ২ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা।

প্রকল্পের মেয়াদ রাখা হয়েছে ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত।

বুধবার দুপুরে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদিত হয়েছে। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, “প্রকল্প নির্মাণের জন্য কমিটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। রাজউকের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় শান্তিনগর থেকে ঢাকা-মাওয়া রোড (ঝিলমিল) পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। এর জন্য ৩ দশমিক ৪১ একর জমি অধিগ্রহণ করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬১ কোটি টাকা। আর গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনে ব্যয় হবে ১৫০ কোটি টাকা। ফ্লাইওভারটি চার লেন বিশিষ্ট হবে। ”

মন্ত্রী আরও জানান, চলতি বোরো মৌসুমের জন্য সারের চাহিদা মেটাতে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইউরিয়া ও নন-ইউরিয়া সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নন-ইউরিয়া সার আমদানির জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করা হবে।

এছাড়া ৫০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে নির্মাণাধীন রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভূমি উন্নয়নের জন্য বালি ভরাট কার্যক্রম সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে আনা ও চিত্তরঞ্জন কটন মিলের জমিতে টেক্সটাইল পল্লী স্থাপনের সম্পূর্ণ দায়িত্ব বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশনকে (বিটিএমসি) দেওয়ার প্রকল্প বাস্তবায়নের নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে বুধবারের সভায়।

এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী বলেন, “রামপালে মাটি ভরাটের কাজটি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তারা পারেনি। এখন সরকারি সংস্থাকে এই কাজ দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চুক্তি করবে। ”

তিনি জানান, বর্তমানে প্রকল্পের ভরাটযোগ্য অংশে আনুমানিক ৭৪ লাখ ১ হাজার ৫১৭ ঘনমিটার বালির প্রয়োজন হবে। প্রতি ঘনমিটার বালু ভরাটের দর সব মিলিয়ে (ভ্যাট ও আয়করসহ) ১৩০ টাকা ৫০ পয়সা ধরা হয়েছে। এতে প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৯৭ কোটি ৯৮ লাখ ১৩ হাজার টাকা ।

সূত্র জানায়, নারানগঞ্জের চিত্তরঞ্জন কটন মিলে জমির পরিমাণ ৩২ দশমিক ৬৪ একর।   এ জমিতে ২১টি শিল্প প্লট ও ১টি বাণিজ্যিক প্লট স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২১টি প্লটের মধ্যে ১১টি স্পিনিং, নিটিং ও আরএমজি শিল্প স্থাপন করা হবে। ১০টি প্লট নদীর নিকটবর্তী হওয়ায় সেখানে ওয়েট প্রোসেসিং শিল্প স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

তবে এ কাজগুলো কারা সম্পন্ন করবে, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানাতে বলা হয়েছে মন্ত্রণালয়কে।

সভায় উত্থাপিত রফতানি নীতি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী জানান, এটি বিবেচনাধীন রয়েছে, এ নিয়ে আরো আলোচনার প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ০৯ জানুয়ারি, ২০১৩
এসএআর/সম্পাদনা: হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর; নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর; জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।