ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

মার্জিন-ঋণ বন্ধ হলে ক্ষতি হবে মার্চেন্ট ব্যাংকের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১০
মার্জিন-ঋণ বন্ধ হলে ক্ষতি হবে মার্চেন্ট ব্যাংকের

ঢাকা: মার্জিন-ঋণ সুবিধা বন্ধ করার অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মার্চেন্ট ব্যাংকার্স কর্মকর্তা ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা।

তারা বলছেন, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর লাইসেন্স পাওয়ার অন্যতম শর্ত হলো পোর্টফোলিও ম্যানেজ করা অর্থাৎ মার্জিন লোন দেওয়া।

কিন্তু সংসদীয় কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী মার্জিন-ঋণ বন্ধ করে দেওয়া হলে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

পুঁজিবাজারে নগদ টাকার প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজ থেকে বিনিয়োগকারীদের মাজির্ন ঋণ দেওয়া বন্ধ করার সুপারিশ করেন অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল ।
 
এ বিষয়ে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি আরিফ খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘মার্জিন লোন বন্ধের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে আশা করছি। তখন বিএমএ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’

যেহেতু আমাদের কাছে এখনো কোনো প্রস্তাব আসেনি তাই মুহূর্তে আমরা কোনো মন্তব্য করছি না। তারপরও বলবো এটি করা হলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। ’
 
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘মার্জিন ঋণ বন্ধ করা হলে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে এটা সত্য। সংসদীয় কমিটি এ ব্যাপারে সুপারিশ করতেই পারে। কিন্তু সব কিছু বিবেচনা করে এসইসিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ’
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ও বাজার বিশ্লেষক সালাহউদ্দিন আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, ‘মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো মূলত প্রধান ব্যবসাই হলো পোর্টফোলিও গঠন করা। এটা বন্ধ করা হলে ব্যবসায়িকভাবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মাঝে মাঝে বাজার কারেকশন হচ্ছে। এইভাবে কারেকশন হলে বাজার এসইসির নিয়ন্ত্রণে আসবে। ’

সংসদীয় কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এসইসিকে আরো ভাবতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
 
অন্যদিকে এসইসির সিনিয়র সদস্য মনসুর আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘সংসদীয় কমিটির  সুপারিশ আমাদের কাছে এখনো অফিসিয়ালি আসেনি। চিঠি এলে কমিশন বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’
 
বর্তমানে এসইসি থেকে লাইসেন্স নিয়ে ৩১ মার্চেন্ট ব্যাংক ইস্যু আনা, পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট এবং আন্ডাররাইটার হিসেবে কাজ করছে। একটি মার্চেন্ট ব্যাংক শুধু পোর্টফোলিও ম্যানেজার হিসবে লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।