ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

হিলি স্থলবন্দর ফের চালু

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১১ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১০

দিনাজপুর: নিরাপত্তারক্ষী ও শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আবারও শুরু হয়েছে।

সন্ধ্যায় শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বৈঠকের বন্দর চালুর সিদ্ধান্ত হয়।

 

বন্দরের একটি সূত্র জানায়, পণ্য ওঠানামায় টনপ্রতি ২২ টাকা মজুরি দেওয়ার দাবিতে শনিবার শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলন শুরু করে। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে শ্রমিকরা মিছিল নিয়ে ২ ও ৩ নং গেট দিয়ে স্থলবন্দরে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তারীরা তাদের বাধা দেয়। এ সময় দু’পরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের ১১ জন আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এর কিছুক্ষণ পরই বন্দর কর্তৃপ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এতে  বন্দরের দু’পাশে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে।

এ বিষয়ে পানামা হিলি পোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনন্ত কুমার চক্রবর্ত্তী বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘যারা হামলা করে ভাঙচুর করেছে তারা পানামা পোর্টের তালিকাভুক্ত শ্রমিক নন। অবৈধভাবে তারা দাবি আদায় করার চেষ্টা করছে। ’

হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশ স্থলবন্দর শ্রমিক লীগ হিলি স্থলবন্দর শাখার সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লাবু বলেন, ‘শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত। তাদের অধিকার আদায়ের জন্য পণ্য ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ’

তিনি আরও জানান, হিলি স্থল বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেড কর্তৃপ আমদানি ও রপ্তানি করা পণ্য ওঠানামার জন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টন প্রতি ৩৪ টাকা করে নেয়। অথচ বন্দর কর্তৃপ শ্রমিকদের টন প্রতি ৮-১০ টাকা পরিশোধ করে। এ অবস্থায় শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে টনপ্রতি ২২ টাকা মজুরি দেওয়ার দাবিতে দাবিতে পণ্য ওঠানামা বন্ধ করে দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।