ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভারতীয় পণ্যের ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের ফি আপাতত না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১০
ভারতীয় পণ্যের ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের ফি আপাতত না

ঢাকা: বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতীয় পণ্যের ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের ফি আপাতত আদায় হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘ফি আদায়ের পরিমাণ এখনো নির্ধারণ না হওয়ায় বিষয়টি ঝুলে আছে।

সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’

মঙ্গলবার এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত নিয়মিত মাসিক রাজস্ব আদায় বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

এছাড়া যাদের ট্যাক্স আইডেন্টিফাই নাম্বার (টিন) আছে, অথচ রিটার্ন জমা দেননি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে  উপস্থিত ছিলেন বোর্ড সদস্য আমিনুর রহমান, জাহান আরা সিদ্দিকী, মো.ফরিদ উদ্দিন , বশির উদ্দিন আহমেদ ও আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের ক্ষেত্রে এনবিআর একটি অংশ মাত্র। এর সঙ্গে নৌ পরিবহন, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, রেলওয়ে, পোর্টসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পৃক্ত রয়েছে। এ বিষয়ে এনবিআরের আইন ও বিধি-বিধান আছে। তাই বিষয়টি নিয়ে বিশদ আলোচনার জন্য আগামী ১০ নভেম্বর এনবিআরের উদ্যোগে সেমিনারের আয়োজন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’

তবে সাময়িকভাবে ফি আদায় না করলেও আন্ডার টেকিংয়ের আওতায় ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এনবিআর সদস্য ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের চুক্তির আওতায় রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, পোর্ট সংস্কারসহ  অবকাঠামোগত উন্নয়নের ব্যাপারও রয়েছে। তাই এক্ষেত্রে ফি আদায় কৌশল কী হবে তা জাতীয়ভাবে নির্ধারিত হওয়া উচিত। ’

বোর্ড সদস্য বশির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাজস্ব বাড়াতে স্পট অ্যাসেসমেন্ট শুরু করতে যাচ্ছে এনবিআর। চট্টগ্রামে আগামী ১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এ কর্মসূচি। ২ নভেম্বর সিলেটে এবং ৩ নভেম্বর ঢাকায় শুরু হবে এ কার্যক্রম।  

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাজস্ব আদায়ে ২৫ দশমিক ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৪ হাজার ১৩০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। তার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৫ হাজার ৫২৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা। ২০০৯-১০ অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১২ হাজার ৩৯৭ কোটি ১৭ কোটি টাকা। রজস্ব আদায়ের এ ধারা অব্যাহত থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে বলে এনবিআর আশা প্রকাশ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।