ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

স্বাভাবিক অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১০
স্বাভাবিক অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দর

চট্টগ্রাম: শ্রমিক অসন্তোষের কারণে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে চট্টগ্রাম বন্দর।

আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী প্রতিটি জাহাজের বন্দরে গড় অবস্থানকাল ৭-৮ দিন থেকে কমে আড়াই থেকে তিনদিনে নেমে এসেছে।

 

শনিবার সকালে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব সৈয়দ মো. ফরহাদউদ্দিন জানান, বন্দরের বহির্নোঙ্গর এবং জেটি মিলে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৪৫টি জাহাজে পণ্য উঠানামা হচ্ছে। গড়ে প্রতিদিন পাঁচ হাজার কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে।

তিনি জানান, বন্দর থেকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডিসহ দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ডিপোতে দৈনিক গড়ে আরও দু’হাজার কনটেইনার ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে।

সচিব আরও বলেন, শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে জাহাজ আছে ৮৬টি। এর মধ্যে জেটিতে প্রবেশের অপক্ষায় আছে একটি কন্টেইনারবাহী জাহাজসহ মোট আটটি জাহাজ। বাকী জাহাজগুলোতে লাইটার ভেসেলের মাধ্যমে পণ্য উঠানামা চলছে।

বন্দরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন জেটি ঘুরে দেখা গেছে, জেটিতে বার্থিং নেয়া ১১টি জাহাজে স্বাভাবিকভাবে পণ্য উঠানামা চলছে।

সচিব জানান, শ্রমিকদের মূল দাবি পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ দু’একদিনের মধ্যে শুরু হবে।

উল্লেখ্য, বন্দরের ছয়টি বার্থে বেসরকারি অপারেটর নিয়োগসহ বিভিন্ন ইস্যুতে শ্রমিক অসন্তোষ চরম আকার ধারণ করলে গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দর অচল হয়ে পড়ে। এ নিয়ে পুলিশ ও বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সরকার বন্দরে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে। বন্দর এলাকায় এখনও ১৪৪ ধারা বহাল আছে।  

এদিকে শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে বন্দরের সংরতি জেটি এলাকায় অস্থায়ীভাবে ৩০ শয্যাবিশিষ্ট একটি ‘ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল’ চালুর কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী।

সংবাদ সম্মেলনে বন্দরে দায়িত্বরত সেনাসদস্যদের সমন্বয়কারী কর্মকর্তা মেজর মো. শাহরিয়ার মোর্শেদ জানান, হাসপাতালটি শনিবার রাতের মধ্যে চালু হবে। এছাড়া সেনাবাহিনীর নিজস্ব দু’টি মেডিকেল টিমও বন্দরের জেটিতে কাজ করছে।

তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী শ্রমিকদের অসন্তোষের মূল কারণ চিহ্নিত করে একটি স্থায়ী সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করছে। ’

বন্দরের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বেসরকারি বার্থ অপারেটর এভারেস্ট এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহাদাৎ হোসেন সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘সেনা মোতায়েনের পর আমরা আড়াই দিনের মধ্যে জাহাজ হ্যান্ডলিং করতে পারছি। তবে এখনও আমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।