ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ডিমেট না করায় ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে গেছে ২৮ প্রতিষ্ঠান

এস এম গোলাম সামদানী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৫ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১০
ডিমেট না করায় ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে গেছে ২৮ প্রতিষ্ঠান

ঢাকা : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘বি’ ক্যাটাগরির ২৮টি প্রতিষ্ঠান ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) নির্দেশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে কাগজের শেয়ার ডিমেট শেয়ারে রূপান্তরিত না করায় বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানগুলোর নতুন পদায়ন হয়।


 
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ঔষধ ও রসায়ন খাতের ৫টি, টেক্সটাইল খাতের ৪টি, খাদ্য ও অনুষাঙ্গিক খাতের ৫টি, প্রকৌশল খাতের ৩টি,  বিবিধ খাতের ৪টি, সিরামিকস ও সেবাখাতের ২টি করে এবং ট্যানারি, কাগজ  ও পাট খাতের ১টি করে কোম্পানি।
 
এসইসি গত ২৫ মে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সব কাগজের শেয়ার ১ জুলাইয়ের মধ্যে ডিমেট শেয়ারে রূপান্তরের নির্দেশ দেয়। নির্দেশে উল্লেখ করা হয়, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠান কাগজের শেয়ার ডিমেট শেয়ারে রূপান্তর করতে ব্যর্থ হলে তাদের ১ জুলাই থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দেওয়া হবে।

‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দেওয়ার পর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওইসব প্রতিষ্ঠানকে মূল বাজারে লেনদেনের সুযোগ দেওয়া হবে। এসময়ের মধ্যেও ডিমেট না করা হলে ১ অক্টোবর থেকে মূল বাজারে ‘জেড’ ক্যটাগরির ওইসব শেয়ারের লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এসইসি-এর নির্দেশের একমাস অতিবাহিত হলেও এসময়ের মধ্যে শুধু রহিমা ফুড ও প্রাইম টেক্সটাইল তাদের কাগজের শেয়ার ডিমেট শেয়ারে রূপান্তরিত করেছে। অবশিষ্ট ২৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার এখনো কাগজের থেকে যাওয়ায় আজ থেকে দুর্বল মৌলভিত্তির ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নেমে যাচ্ছে।
 
এসইসির নির্দেশের পরও কাগজের শেয়ার থেকে ডিমেট না করার প্রধান কারণ প্রতিষ্ঠানগুলোর অনাগ্রহকে। অনেক প্রতিষ্ঠান ডিমেট করাকে ঝামেলার কাজ বলে মনে করছে।
 
এ ব্যাপারে মুন্নু সিরামিকস লিমিটেড এর শেয়ার বিভাগের কর্মকর্তা মুত্যুঞ্জয় রায় বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের প্রতিষ্ঠানের কাগজের শেয়ারের মাধ্যমেই লেনদেন হচ্ছে। এতে আমাদের কোনো সমস্য হচ্ছে না। তাছাড়া কাগজের শেয়ার আমরা নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করতে পারছি। ’
 
অন্যদিকে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) এর হেড অফ সিস্টেম মো. মইনুল হোসেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, ‘ডিমেট করা না করাটা প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছের ওপর নির্ভর করছে। ডিমেটে আসলে আর্থিক খরচ অনেক কমে যাবে। কাগুজে শেয়ারের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাখ লাখ টাকার শেয়ার সার্টিফিকেট ছাপাতে হয়। সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলো যখন ডিমেটে আসবে তখন শুধু সিডিবিএল চার্জ ছাড়া আর কোনো খরচ থাকবে না। তারপরও প্রতিষ্ঠানগুলো কেনো ডিমেট করছে বৃুঝতে পারছি না। ’
 
উল্লেখ্য, বর্তমানে পুঁজিবাজারে ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের কাগজের শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি ‘বি’ ক্যাটাগরির এবং অবশিষ্ট ১৫টি ‘জেড’ ক্যাটাগরির।

ডিমেট না করায় যেসব প্রতিষ্ঠান ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নেমে যাচ্ছে সেগুলো হলো- রসায়ন খাতের বাংলা প্রসেস, কোহিনুর কেমিক্যালস, লিবরা ইনফিউশন্স, ওরিয়ন ইনফিউশন্স ও ইমাম বাটন। টেক্সটাইল খাতের মর্ডান ডাইং, দেশ গার্মেন্টস, অ্যানলিমা ইয়ার্ন ও এইচ আর টেক্সটাইল। বিবিধ খাতের মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, হিমাদ্রি, সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ ও দি ইঞ্জিনিয়ার্স। সিরামিকস খাতের স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস ও মুন্নু সিরামিকস। প্রকৌশল  খাতের মুন্নু জুটেক্স, মুন্নু স্ট্যাপলার্স ও রেনউইক যজ্ঞেশ্বর। সেবা খাতের বাংলাদেশ সার্ভিসেস ও বাংলাদেশ হোটেলস। খাদ্য ও অনুষাঙ্গিক খাতের ইউসুফ ফাওয়ার, বাংলাদেশ প্লান্টেশন, হিল প্ল্যান্টেশন, ঢাকা ফিসারিজ ও গালফ ফুড। ট্যানারি খাতের লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, কাগজ খাতের আজাদী প্রিন্টার্স এবং পাট খাতের সোনালী আঁশ।

স্থানীয় সময় : ২১৪৪ ঘণ্টা, ০১ জুলাই ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।