ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খনন হবে সাঙ্গু-চাঁদখালী নদী, সোনাইছড়ি বেড়িবাঁধে সংস্কার

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২০
খনন হবে সাঙ্গু-চাঁদখালী নদী, সোনাইছড়ি বেড়িবাঁধে সংস্কার পাউবো’র লগো।

চট্টগ্রাম: দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার নদী তীরবর্তী মানুষের দুঃখ এবার ঘুচবে। এখানকার সাঙ্গু ও চাঁদখালী নদী খনন এবং নদীর তীর সংরক্ষণে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) গ্রহণ করেছে ১৭৭ কোটি টাকার প্রকল্প। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দুই নদীর ভাঙ্গন রোধ হবে এবং কৃষিক্ষেত্রে সেচ সুবিধা বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের অধীনে সাঙ্গু নদীর ২ হাজার ১৫০ মিটার ডান তীর সংস্কার করা হবে। এরমধ্যে চর বরমায় ২৫০ মিটার, দ্বীপ পাড়ায় ৩শ মিটার, বৈলতলী রশিদিয়া মাদ্রাসা এলাকায় ২শ মিটার, চর খাগরিয়ায় ২শ মিটার, রাই-জোয়ারায় ৩শ মিটার, দিয়ারকুলে ৫৫০ মিটার, চিরিংঘাটায় ১৫০ মিটার, ধোপাছড়ি বাজারে ২শ মিটার নদী তীর সংরক্ষণ করা হবে।

সাঙ্গু নদীর বাম তীরে ২ হাজার ৫০ মিটারের মধ্যে বাংলাবাজারে ৩শ মিটার, দক্ষিণ চরতিতে ১৫০ মিটার, কাটগড়ে ৮শ মিটার, বিশ্বাসহাট ও ধর্মপাড়ায় ২৫০ মিটার, পুরানগড় মসজিদ এলাকায় ২শ মিটার, বৈতরণীতে ২শ মিটার, শীলঘাটা বড়ুয়া পাড়া এলাকায় ১৫০ মিটার সংরক্ষণ করা হবে।

সাঙ্গু নদীর ডান তীরে ৭৮০ মিটারের মধ্যে চর বরমায় ৩৫০ মিটার, দ্বীপ পাড়ায় ১৫০ মিটার, চর খাগরিয়ায় ১শ মিটার, ধোপাছড়িতে ১৮০ মিটার কাজ করা হবে।

চাঁদখালী নদীর ডান তীরে চন্দনাইশের কেশুয়া অংশে ৪শ মিটার নদী তীর সংস্কার করা হবে।

এছাড়া চাঁদখালী নদীর ডান তীর সংরক্ষণের আওতায় কেশুয়ায় ২শ মিটার, ডলু নদীর ডান তীরে ইলুয়া জলদাসপাড়া, স্টীল ব্রীজ, পূর্ব ডলু, পূর্ব ঘাটিয়াডাঙ্গা, ইছামতি ও আলীনগড়ে ৯শ মিটার, বাম তীরে হিলিমিলি, মেহেদিপাড়া, রামপুরে ৪৫০ মিটার সংরক্ষণ কাজ করা হবে।

জানা গেছে, প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পাওয়ার পর দরপত্র আহ্বান শেষে ঠিকাদারও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শিগগির কাজ শুরু হবে।

পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা বাংলানিউজকে বলেন, ‘সাঙ্গু ও চাঁদখালীর নদী খনন এবং তীর সংরক্ষণে ১৭৭ কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নদী তীরবর্তী তিন উপজেলার ভাঙন রোধ হবে। পাশাপাশি নদীর গভীরতা বাড়লে পানি প্রবাহও বাড়বে। এতে নদীর উভয় পাশে কৃষি আবাদও বাড়বে। কৃষকরা পাবেন সেচ সুবিধা।

এদিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকায় ৪শ মিটার বেড়িবাঁধের সংস্কার কাজও শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ঘোড়ামরা গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প নামের এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ লাখ টাকা।

সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঘোড়ামরা এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে যায়। এতে ওই ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সাগরের লবণাক্ত পানিতে ফসলেরও ক্ষতি হয় প্রতিবছর। এ অবস্থায় স্থানীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের উদ্যোগে এই বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজ শুরু হয়।

অপরদিকে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের বারআউলিয়ায় বেড়িবাঁধের মাটির কাজ বর্ষার পরেই শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা।

তিনি বলেন, পারকি সৈকত, পারুয়াপাড়া, বাতিঘর, দক্ষিণ পারুয়াপাড়াসহ ৭টি প্যাকেজে দেড়শ কোটি টাকার টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ওই অংশে ব্লক বসানোর কাজ শুরু হবে।

প্রসঙ্গত, আনোয়ারায় উপকূলীয় ইউনিয়নগুলোর বেড়িবাঁধের উন্নয়নে প্রায় ৪শ কোটি টাকার কাজ চলছে। বারআউলিয়া এলাকায় ২শ মিটার বেড়িবাঁধে পাথর ও বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ বসানো হলেও মাটি উঁচুকরণ কাজ শেষ না হওয়ায় জোয়ারের পানি ঢুকে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২০
এসি/এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।