বিকাশের দোকানে চুরি করলে তাদের টার্গেট থাকে নগদ টাকা ও মোবাইলের দোকান থেকে নতুন মোবাইল চুরি করে।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য উল্লেখ করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া আল আমিন নামে এক চোর।
সোমবার (৬ জুলাই) নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আল আমিনসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন।
তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় চুরি করা ৩৬টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
গ্রেফতার পাঁচ চোর হলো- মো. রাজু প্রকাশ রাসেল (২৬), মো. আল আমিন (২০), নাসরিন আক্তার পলি (৩২), মহরম আলী (২২) ও মো. সিরাজ (২৪)।
গ্রেফতার আল আমিন মঙ্গলবার বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানান ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গ্রেফতার পাঁচ চোর বিকাশের দোকান ও মোবাইল ফোনের দোকান টার্গেট করে চুরি করে। তারা নগদ টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায় দোকান থেকে। এ চক্রের নারী সদস্য ক্রেতা সেজে দোকানে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করে। পরে পরিস্থিতি অন্য সদস্যদের জানিয়ে রাখে। সুযোগ করে সিএনজি অটোরিকশা করে এসে দোকানের তালা ভেঙে সার্টার খুলে ঢুকে চুরি করে। আশেপাশে তাদের লোকজন থাকে। চুরির বিষয়টি সাধারণ মানুষ বুঝতেও পারেনা তাদের কৌশলের কারণে।
মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম জানান, এ চক্রের সদস্যরা নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজার, শাহ আমানত মার্কেট, তামাকুমণ্ডি লেইনসহ বিভিন্ন এলাকার মার্কেটে চুরি করে থাকে। ৬ জুলাই কর্ণফুলী থানাধীন ইত্যাদি শপিং কমপ্লেক্স মার্কেটের একটি দোকানেও চুরি করে বলে স্বীকার করেছে।
ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাকলিয়া থানাধীন তুলাতলী ডুবাইওয়ালার ভাড়াঘর থেকে নাসরিন আক্তার পলিকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে রাজু ও আল আমিনকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে অন্য জায়গা থেকে মহরম ও সিরাজকে গ্রেফতার করা হয়।
এ চোর চক্রের পলাতক সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২০
এসকে/টিসি