চট্টগ্রাস সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে এমনটি উঠে আসে। এতে দেখা যায়, গত ২ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এক মাসে মোট আক্রান্ত হন ২ হাজার ৯০৭ জন।
চট্টগ্রামে গত ২৫ মার্চ প্রথম করোনার পরীক্ষা শুরু হয়। ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে সংক্রমণ বাড়লেও সুস্থতার হার তলানিতে। এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের তুলনায় ১২ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়েছেন।
করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা না পাওয়ার অভিযোগের পর চট্টগ্রামে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি আইসোলেশন সেন্টার। সিটি করপোরেশনসহ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে গড়ে ওঠা এসব আইসোলেশন সেন্টারে নেই তেমন রোগীর চাপ।
আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর সুবিধা না থাকায় রোগীরা আস্থা পাচ্ছেন না বলে মত বিশ্লেষকদের।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে যেভাবে রোগী বাড়ছে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তেমন বাড়ছে না। নিজের সুরক্ষা নিজে নিশ্চিত করলেই সংক্রমণের পরিমাণ কমবে।
আইসোলেশন সেন্টারে আশানুরূপ রোগী ভর্তি না হওয়া কারণ হিসেবে তিনি বলেন, রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন সেন্টার গড়ে উঠছে এটা ভালো উদ্যোগ। কিন্তু রোগী কম ভর্তি হওয়ার কারণ হতে পারে প্রচার প্রচারণার অভাব কিংবা আইসোলেশন সেন্টারের প্রতি রোগীদের আস্থা না থাকা। তবে আমি মনে করি, বেশি আইসোলেশন সেন্টার না করে, যারা এসব করতে চায় তাদের টাকা দিয়ে করোনা চিকিৎসায় উৎসর্গ করা হাসপাতালগুলোতে সেবার পরিধি বাড়ানো উচিত।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ রুখতে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। তা ছাড়া প্রথম থেকে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে সংক্রমণ বেড়েছে চট্টগ্রামে। তাই এখনই সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, রোগীদের চিকিৎসায় হাসপাতালের পাশাপাশি গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি আইসোলেশন সেন্টার। যেখানে মিলছে মানসম্মত সেবা। সুতরাং বর্তমানে করোনার চিকিৎসায় বেশ সুযোগ তৈরি হয়েছে চট্টগ্রামে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২০
এমএম/টিসি