ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হালিশহরে করোনা আইসোলেশন সেন্টারে রোগী ভর্তি রোববার থেকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৬ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২০
হালিশহরে করোনা আইসোলেশন সেন্টারে রোগী ভর্তি রোববার থেকে বক্তব্য দেন ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান

চট্টগ্রাম: নগরের হালিশহরে তরুণদের উদ্যোগে নির্মিত করোনা আইসোলেশন সেন্টার চট্টগ্রামের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে রোববার (১৪ জুন) থেকে। রোববার থেকে রোগী ভর্তি করানো হবে করোনা আইসোলেশন সেন্টারে।

১০০ শয্যার করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ১২ জন চিকিৎসক ও ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক সার্বক্ষণিক করোনা আক্রান্তদের সেবা দেবেন। এখানে অক্সিজেন সাপোর্টের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

শনিবার (১৩ জুন) হালিশহর কে-ব্লকে করোনা আইসোলেশন সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয় উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে।

লিখিত বক্তব্যে করোনা আইসোলেশন সেন্টার চট্টগ্রামের প্রধান উদ্যোক্তা ও মুখপাত্র মোহাম্মদ সাজ্জাত হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেসামাল বন্দরনগরী চট্টগ্রাম।

সরকারি হাসপাতালের সিট সীমাবদ্ধতা আর বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নয় ছয় মনোভাবের কারণে এই নগরীর করোনা আক্রান্তদের দুর্ভোগ চরমে।

আইসিইউ তো দূরের বিষয় অক্সিজেনের অভাবেই মারা যাচ্ছে অনেক রোগী।   বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণকারী এসব রোগীর স্বজনদের আহাজারীতে চট্টগ্রামের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। এসব স্বজনহারাদের আর্তনাদ আর মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেই আমাদের এই করোনা আইসোলেশান সেন্টারের প্রয়াস।

উদ্যোক্তা ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজিম রণি জানান, ১০০ শয্যার আইসোলেশান সেন্টারে করোনা আক্রান্তদের বিনা পয়সায় সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করা হবে। আইসোলেশন সেন্টারে অক্সিজেন, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, পালস অক্সিমিটার, নেবুলাইজার, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকবে। ১২ জন চিকিৎসক ও ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক সার্বক্ষণিক করোনা আক্রান্তদের সেবা দেবেন।

করোনা আক্রান্ত রোগীদের পরিবহনের জন্য  অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা থাকবে বলে জানান নুরুল আজিম রণি।

চিকিৎসা সেবার বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তব্য দেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগের করোনা বিষয়ক সেলের সমন্বয়ক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান।

ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, আইসোলেশন সেন্টারে করোনা আক্রান্ত মৃদু ও মাঝারি উপসর্গের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হবে। পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক আয়োজন সম্পন্ন করেই রোববার থেকে এ সেন্টারে রোগী ভর্তি শুরু হবে। চিকিৎসক, নার্সসহ প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়েই আইসোলেশন সেন্টার টিমের যাত্রা শুরু হলো।

তিনি বলেন, আইসিইউ শয্যার চেয়ে বেশী প্রয়োজন এইচডিইউ সেবা। সঠিক সময়ে সঠিক মাত্রার অক্সিজেন প্রাপ্তি নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য। ভেন্টিলেটর নয়, হাইফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা ও নন বিব্রেদার অক্সিজেন মাস্কের প্রাপ্তি নিশ্চিত করলেই তীব্র উপসর্গে ভুগতে থাকা রোগীদের জীবন বাঁচানো সহজ হবে।

মোহাম্মদ সাজ্জাত হোসেন জানান, আই এম এস গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর আবুকে নিজের কমিউনিটি সেন্টারকে এই আইসোলেশান সেন্টারের জন্য ব্যবহার করতে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম করোনা আইসোলেশন সেন্টার তৈরিতে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।

এ উদ্যোগের নেপথ্যে আরও রয়েছেন নাজিমুদ্দিন মাহমুদ শিমুল, আ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী, আ্যাডভোকেট টিআর খাঁন, জাওয়াদ চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, ইকরাম উল্লা, তৌহিদুল ইসলাম, জাফর আল তানিয়ার, নুরুজ্জামান, গোলাম সাদমান জনি, সাবিনা আক্তার, সুমন চৌধুরী, এম. তৌহিদুল ইসলাম, সাদ শাহরিয়ার।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২০
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।