তিনি বলেছেন, এই সময়ে ব্যবসায়ীক দৃষ্টিভঙ্গি দেখলে হবে না। এখন এক্সপেরিমেন্ট করার সময় নেই।
শনিবার (৩০ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠকে হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সভাপতিত্বে বৈঠকে সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামাল হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, বিএমএ চট্টগ্রাম সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, বেসরকারি ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. লিয়াকত আলীসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ আছে। মানুষের প্রতি দ্বায়বদ্ধতা আছে। দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আমাদের অনেস্টলি কথা বলতে হবে। আপনারা কোনো কিছু হাইড করবেন না।
‘এর পর আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো- আমাদের কি আছে, কি নেই। সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে এটা কিন্তু অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। আপনারা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি অভিজ্ঞ। ’
মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আড়াই হাজার পার হয়েছে। ছুটি শেষ হলে এই সংখ্যা বাড়তেও পারে। প্রতিদিন ৪০০-৫০০ মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। তাই আমাদের সরকারি, বেসরকারি সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখতে হবে। মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।
আরও খবর>>
** করোনা রোগী ফিরিয়ে দিলে হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, বৈঠকে নগরের বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে প্রস্তুতের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই হাসপাতালে শুধু করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পার্কভিউ ছাড়া অন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও আলাদা কর্নার করে করোনা উপসর্গ কিংবা করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোন হাসপাতালে কতটি বেড কিংবা আইসিইউ স্থাপন করা হবে, তা দেখতে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।
‘মনিটরিং কমিটি করোনা রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করবে। কোনো বেসরকারি হাসপাতাল করোনা রোগীদের ফিরিয়ে দিলে ব্যবস্থা নেবে। ’ যোগ করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪২ ঘণ্টা, মে ৩০ ঘণ্টা, ২০২০
এমআর/টিসি