ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যারা চাইতে পারেন না সহায়তা, তাদের পাশে চসিক মেয়র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৪ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
যারা চাইতে পারেন না সহায়তা, তাদের পাশে চসিক মেয়র ম্যাসেজ পর্যবেক্ষণে ব্যস্ত মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

চট্টগ্রাম: করোনা ভাইরাসের প্রকোপে সহায়তা চাইতে না পারা মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত ছয় হাজারের বেশি পরিবারের কাছে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

গত ২৩ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম এখনও চলমান রয়েছে। ৮ জনের একটি টিম প্রতিদিন সাহায্য প্রত্যাশীদের ঘরে পৌঁছে যাচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী নিয়ে।

জানা গেছে, মেয়রের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এবং ব্যক্তিগত মোবাইলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত যারা লজ্জায় সবার সামনে সাহায্য চাইতে পারছেন না, তারা ম্যাসেজ পাঠালেই খাদ্য সামগ্রী ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থেকে এসব ম্যাসেজ পর্যবেক্ষণ করছেন মেয়র।

টিমের সদস্য আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ম্যাসেজ পেলে মেয়র মহোদয় সাহায্য প্রত্যাশীর ফোন নম্বর আমাদের দিয়ে দেন। সেই নম্বরে ফোন করে নাম-ঠিকানা জেনে তাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি খাদ্য সামগ্রী। এই সহায়তা মেয়রের ব্যক্তিগত তহবিল থেকেই দেওয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, এ পর্যন্ত শুধু ম্যাসেজের মাধ্যমে ছয় হাজারের বেশি পরিবারকে এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতা-কর্মী ও সেবা সংগঠনের মাধ্যমে আরও বিশ হাজার পরিবারকে চসিক মেয়র খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। প্রতিদিন মাইক্রোবাসে করে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

গত ৭ এপ্রিল রাতে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেন। ঘোষণায় তিনি বলেন, নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে বসবাস করা মধ্যবিত্ত পরিবারের নাগরিকরা তাদের মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানা জানিয়ে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের পেইজে (https://www.facebook.com/gsajmnasiruddin) ম্যাসেজ পাঠালে গোপনে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে।

এরপর মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন সাহায্যের আবেদন জানান। মেয়রের উদ্যোগে গোপনে তাদের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কর্মযজ্ঞ শুরু হয়।

মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এক বিবৃতিতে বলেন, প্রায় ৭০ লক্ষাধিক নগরবাসীর মধ্যে এনজিওদের পরিসংখ্যানে ১৪ লাখ ৪০ হাজার মানুষ হতদরিদ্রের আওতায় পড়ে, কিন্তু আমাদের হিসাবে যা প্রায় ২০ লাখ। সরকারি, চসিক পরিবার ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে নগরের ৪ লাখ পরিবারের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যারা বাকি রয়েছেন তারা অবশ্যই ত্রাণ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবেন না, এটা আমাদের অঙ্গীকার। দুর্যোগ কাটিয়ে না ওঠা পর্যন্ত এ ত্রাণ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।  

তিনি বলেন, করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে যে সকল মধ্যবিত্ত পরিবার আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে চাল-ডাল কিনতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে তারা আমার এই পেইজে এসএমএস'র মাধ্যমে জানাতে পারেন। আপনার পরিচয় গোপন থাকবে। অবশ্যই মোবাইল নম্বর, পূর্ণ ঠিকানা দিতে হবে, যাতে যাচাই-বাছাই করে সঠিক কিনা জানতে পারি। এখানে কোন সংঘ কিংবা গোষ্ঠীকে তালিকাভুক্ত করা হবে না। শুধু একটি পরিবার একটি এসএমএস ভিত্তিতে তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।

কোনও স্বচ্ছল ব্যক্তি বা যে সকল দরিদ্র, কর্মহীন, নিম্ন আয়ের মানুষ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা পেয়েছেন তাদের এসএমএস না করতে অনুরোধও করেছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২০
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।