ঢাকা, সোমবার, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৪ জুলাই ২০২৫, ১৮ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৮৪ হাজার পরিবারে ৪ লাখ ২০ হাজার সাবান বিতরণ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:১৮, মে ১৩, ২০২০
৮৪ হাজার পরিবারে ৪ লাখ ২০ হাজার সাবান বিতরণ ৮৪ হাজার পরিবারে ৪ লাখ ২০ হাজার সাবান বিতরণ

চট্টগ্রাম: নগরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প থেকে এ পর্যন্ত ৮৪ হাজার পরিবারে ৫টি করে ৪ লাখ ২০ হাজার সাবান পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

বুধবার (১৩ মে) পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের জহুর আহমদ চৌধুরী সিটি করপোরেশন প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউএনডিপি’র অর্থায়নে পরিচালিত এলআইইউপিসি প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন উপকারভোগীদের মধ্যে জরুরি পুষ্টি খাদ্য সহায়তা ও সাবান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, দরিদ্র এলাকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার জন্য ৩৬৪ সিডিসি ও ২১টি ওয়ার্ডের ৩৮৪টি জায়গায় হাত ধোয়ার পয়েন্ট স্থাপন করেছে।

কয়েকটি এতিমখানায় ৪৫ হাজার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিশ্বে কোভিড-১৯ একটি মহামারী রূপ নিয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশেও এর দাপট বৃদ্ধি পেয়েছে।

এমতাবস্থায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে আমাদের দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নগরে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরতরা।

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি ও সচেতন হওয়ার। এই সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ সরবরাহে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পও ভূমিকা রেখে চলেছে।

দরিদ্র এলাকার মানুষকে সচেতন করার জন্য লিফলেট, পোস্টার, মাইকিং, ক্যাবল টিভির মাধ্যমেও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালিত করছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প গর্ভবতী মায়েদের জন্য ১ হাজার দিনের জরুরি পুষ্টি খাদ্যা সহায়তা দিয়ে আসছে।

এই কর্মসূচির আওতায় নগরের ১ হাজার ৬৭৪ জন গর্ভবতী মা প্রতিমাসে জরুরি পুষ্টি খাদ্য ডিম, তেল এবং ডাল সহায়তা পেয়ে আসছে। তাদের এই কার্যক্রমসমূহ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। এভাবে নগরে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি সেবা সংস্থাগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করলে করোনা মোকাবেলা ও খাদ্যাভাব অনেকটাই লাঘব হবে।

এ সময় কাউন্সিলর মোবারক আলী, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান চৌধুরী, টাউন ফেডারেশনের চেয়ারপারসন কোহিনূর আক্তারসহ এলআইইউপিসি প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র বলেন, বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনায় করোনা ভাইরাস মহামারীর সঙ্গে সহাবস্থান মেনে নিয়ে জীবন ও জীবিকা অব্যাহত রাখতে হবে। এ জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সাবধানতা এবং সচেতনতা।

তিনি বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।

সবাইকে সচেতন হয়ে চলাফেরায় সঠিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে জরুরি খাদ্য সহায়তার জন্য ২১ হাজার মানুষকে মোবাইল একাউন্টে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২০
এআর/এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।