ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মানবতার সেবা করছে রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট: নাছির

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২০
মানবতার সেবা করছে রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট: নাছির

চট্টগ্রাম: মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর প্রত্যয়ে বিশ্বব্যাপী রেড ক্রস কাজ করছে উল্লেখ করে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ার জন্য রেড ক্রিসেন্ট আর্তমানবতার সেবায় অবদান রাখছে। পৃথিবীর দেশে দেশে বিভিন্ন দুর্যোগে পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে সংগঠনটি। 

'বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট' দিবসে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম  ইউনিটের ফুড প্যাকেজ (ভোগ্যপণ্য সামগ্রী ও রান্না করা খাবার) বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের কর্মী, সাধারণ মানুষ ও পথচারীদের মধ্যে এসব খাবার বিতরণ করা হয়।

 

বিকেলে আন্দরকিল্লা জেমিসন রেডক্রিসেন্ট হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সোসাইটির ম্যানেজিং বোর্ডের সদস্য চট্টগ্রাম রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. শেখ সফিউল আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম সিটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, চট্টগ্রাম সিটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি নুরুল আলম চৌধুরী বাহার, চট্টগ্রাম সিটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সদস্য এইচএম সালাউদ্দিন, সাফকাত জাহান, মহসিন উদ্দিন চৌধুরী ফয়সাল, আনোয়ার আলম, ইসমাইল হক চৌধুরী, রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ইউনিট লেভেল অফিসার আবদুর রশিদ খান, ইয়াহিয়া বখতিয়ার প্রমুখ।  

মেয়র বলেন, দেশের সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিকম্প, ভূমিধস, অগ্নিকাণ্ডসহ নানা সময়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

বিশ্বে চলমান মহামারীতেও তারা প্রাণ বাজি রেখে অবদান রাখছেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দৃষ্টান্তে সংস্থাটির অবদান উল্লেখ করার মতো।  

তিনি বলেন, মানবতার কল্যাণ সাধনে রেড ক্রিসেন্টকে অনুসরণ করে আমাদের নতুন প্রজন্মকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।  

এখন সময় এসেছে মানুষের জীবন রক্ষার পাশাপাশি জীবিকা রক্ষা এবং সতর্কতা অবলম্বন করেই করোনা মহামারি মোকাবিলার। করোনা ভাইরাস (কোভিড -১৯) সংক্রমণ বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় সীমিত পরিসরে দোকান-পাট  ও ব্যবসা বাণিজ্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকবেই। এই মুহূর্তে এমন সিদ্ধান্ত ঠিক হলো কিনা এ ধরনের প্রশ্নের অবতারণাও স্বাভাবিক। মনে রাখতে হবে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা বাস্তবে যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের ধনী দেশগুলোর মতো নয়। এ দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবনধারণ  নির্ভর করে দৈনিক আয় রোজগারের ওপর। ইতিমধ্যে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তাদের আয় বন্ধ। দীর্ঘসময় ধরে শুধু ত্রাণ সহায়তা নিয়ে জীবনধারণ সম্ভব নয়। এই বিবেচনায় লক-ডাউন শিথিল করা হয়েছে। এই শিথিলতার মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে যেন বার্তা না যায় যে বিপদ কেটে গেছে, বরং আরও জোরালো ভাবে বার্তা পৌঁছাতে হবে, আমাদের সামনে অনেকটা পথ বাকি আছে। স্বাভাবিক কাজকর্ম চলাকালে মানুষে মানুষে সংস্পর্শের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আমাদের আরও সচেতন করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad